পার্বতীপুর-সান্তাহার ও ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ
Published: 28th, January 2025 GMT
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে দিনাজপুরের হিলির সঙ্গে সান্তাহার ও পার্বতীপুরসহ সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে হিলি রেলস্টেশনে জাকির হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, “রাজশাহীতে যাব, সেখানে আমার সন্তান পড়ালেখা করে। ট্রেন বন্ধ আমি জানতাম না। এখন রাজশাহীতে কিভাবে যাব বুঝতে পারছি না।”
আরো পড়ুন:
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া বাস চলাচল বন্ধ, বিপাকে যাত্রীরা
উন্নয়ন প্রকল্পে পিআইওর লুটপাট, নীরব প্রশাসন
লাইলা বেগম নামে অপর এক যাত্রী বলেন, “রূপসা ট্রেনে খুলনায় যাওয়া কথা ছিল। স্টেশনে এসে জানতে পারলাম ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতো দূরের রাস্তা কিভাবে যাব?”
আরো পড়ুন: রাজশাহী স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে গেলেন যাত্রীরা
হিলি রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার বিশ্বনাথ কয়াল বলেন, “রেলওয়ের রার্নিং স্টাফরা মাইলেস ভাতা বৃদ্ধিসহ ৮ ঘণ্টা ডিউটির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। যে কারণে আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্তাহার-পাতর্বীপুর রুটসহ সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।”
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’