কুষ্টিয়ায় নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার
Published: 28th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে শুকিয়ে যাওয়া একটি পুকুর থেকে মঈন উদ্দীন (৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মঈন উদ্দীন উপজেলার ধলশা গ্রামের মৃত মাজেদ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কৃষকেরা গ্রামের মাঠে কাজ করতে গিয়ে শুকিয়ে যাওয়া একটি পুকুরের ভেতর এক ব্যক্তির লাশ দেখেন। দ্রুত তারা মিরপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের মানুষ সেখানে ভিড় করে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঈন উদ্দীন সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। সকালে জানা যায় তার লাশ পড়ে আছে মাঠে। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুর রহমান বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “পুলিশের গোয়েন্দা শাখাও কাজ করছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/কাঞ্চন/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’