সাইফের ওপরে হামলা: চর্চিত অমীমাংসিত পাঁচ প্রশ্ন
Published: 28th, January 2025 GMT
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন সাইফ আলী খান।
সাইফের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই পুলিশ। সাইফের বাড়ির স্টাফ নার্স লিমা বয়ান দিয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও বয়ান দিয়েছেন। বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কিছু প্রশ্ন উঠেছে, এসব প্রশ্ন নিয়ে নানা চর্চা চলছে। কিন্তু কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকি সাইফ-কারিনাও নীরবতা ভাঙেননি। চর্চিত এমন পাঁচটি প্রশ্ন তুলে ধরা হলো—
আরো পড়ুন:
সাইফের ওপরে হামলার অভিযোগে আটক, বিয়ে ভাঙল সেই যুবকের
সাইফের ওপরে হামলা নাকি অভিনয়, প্রশ্ন মন্ত্রীর
এক.
লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক ভার্গবী পাতিল মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পুলিশকে দেওয়া তথ্যে পরিস্কার বলা হয়েছে, “১৬ জানুয়ারি রাত ২টা ৩০ মিনিটে সাইফের ওপর হামলা হয়। ভোররাত ৪টা ১১ মিনিটে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।” সাইফের বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব ১০ মিনিটের। তাহলে দেড় ঘণ্টা বাড়িতে কী করছিলেন রক্তাক্ত সাইফ?
দুই. লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি— ছুরির ২.৫ ইঞ্চি ভাঙা অংশ সাইফের মেরুদণ্ডের কাছে আটকেছিল। এ অবস্থায় সাইফ কীভাবে এতক্ষণ ঘরে বসেছিলেন?
তিন. অটোচালক রানার বয়ান অনুযায়ী, সাইফ আলী খান তার শিশুপুত্র তৈমুর আলী খান ও এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যান। জানা যায়, এ সময় একজন পুরুষ ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে কারিনা কাপুর খান কেন সাইফকে একা ছাড়লেন। আর হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ওই পুরুষ বন্ধুকেই কেন ডাকা হয়েছিল। আর নিজের গাড়ি না নিয়ে অটোরিকশায় কনে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাইফ?
চার. হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত সাইফ। চিকিৎসকরা ছুরির ভাঙা অংশের ছবিও প্রকাশ করেন। এদিকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলছেন— ভোঁতা অস্ত্রের আঘাত আহত হয়েছেন সাইফ। আসলে সত্যি কী?
পাঁচ. শোনা যায়, ঘটনার দিন কারিনা বাড়িতে ছিলেন না। আবার এ-ও শোনা যায়, কারিনা একই বাড়ির এগারো তলায় ছিলেন। বাড়িতে যদি থেকেই থাকেন তবে সাইফকে বাঁচাতে কারিনা কেন এগিয়ে যাননি? কারিনা কি সাইফকে রক্ষা করার জন্য আদৌ চেষ্টা করেছিলেন? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই কেন? আক্রমণের সময় তাদের বাড়ির পরিচারিকাও আহত হয়েছিলেন! তা হলে কি কারিনা কাপুর সেই রাতে নেশাগ্রস্ত ছিলেন?
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র স ইফক
এছাড়াও পড়ুন:
আসক্তিহীন ব্যথানাশক নতুন ওষুধের অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
আসক্তিমূলক নয় ( নন-ওপিওয়েড) এমন একটি ব্যথানাশক ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। প্রাপ্তবয়স্কদের স্বল্পমেয়াদি ব্যথার চিকিৎসায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
ব্র্যান্ড নাম জারনাভ্যাক্স হিসেবে পরিচিত সুজট্রিজিন নামে এই ওষুধটি মানুষের শরীরের ব্যথার সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছানোর আগেই কাজ করতে শুরু করে। খবর বিবিসির
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস জানিয়েছে, এই ওষুধটিতে আসক্তি সৃষ্টিকারী উপাদান ওপিওয়েড নেই। এটি মাঝারি থেকে গুরুতর ব্যথার উপশম করতে পারে।
বছরের পর বছর ধরে ব্যথানাশক ওষুধের আসক্তিজনিত সমস্যা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে ‘জাতীয় লজ্জা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং জনস্বাস্থ্যজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।
মানুষের শরীরে নতুন ব্যথানাশক ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই পরীক্ষায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এফডিএ বলেছে, অস্ত্রোপচারের পর ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে জারনাভ্যাক্স কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এই ওষুধের অনুমোদন দেওয়াকে জনস্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর হিসাব অনুসারে, প্রতিবছর আসক্তি উদ্রেগকারী ওপিওয়েড ব্যবহারের কারণে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। ২০২২ সালে মাত্রাতিরিক্ত ওপিওয়েড ব্যবহারের কারণে ৮২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ সীমান্ত করারোপ করবেন। চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপেরও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। চীনের ফেন্টানিল রপ্তানিকে একটি কারণ উল্লেখ করে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ওপিওয়েড শরীরের ব্যথার সংকেতগুলোকে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে দেয় না। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন মস্তিষ্ক নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিনে ভরে যায়। এটি আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। আর এসবের মধ্য দিয়ে ওপিওয়েড অনেক বেশি আসক্তি তৈরি করে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা সারাতে প্রায় ৮ কোটি মানুষকে ওষুধ খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ভারটেক্সের প্রধান নির্বাহী রেশমা কেওয়ালরামানি এই অনুমোদনকে ঐতিহাসিক মাইলফলক বলেছেন।
কোম্পানিটি বলেছে, জারনাভ্যাক্সের প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম পড়বে সাড়ে ১৫ ডলার করে। তবে ওষুধটি শিশুদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর কি না, তা এখনো জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে তারা।