বগুড়ায় মাদক সেবন নিয়ে বিরোধের জেরে বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে হৃদয় আকন্দ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের ফুলবাড়ি মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হৃদয় ওই এলাকার বাবু আকন্দের ছেলে।

নিহত হৃদয় চুরি, ছিনতাই ও মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। মাদক সংক্রান্ত জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বগুড়া ফুলবাড়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আলমাস আলী সরকার।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সকালে হৃদয় তার কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে মধ্যপাড়া এলাকায় সরিষার ক্ষেতের পাশে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় হৃদয় আগে পরে মাদক সেবন করা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এসময় তাদের মধ্যে কেউ একজন হৃদয়কে সরিষার ক্ষেতের মধ্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

ইন্সপেক্টর আলমাস আলী সরকার আরও জানান, হৃদয়কে উদ্ধার করে প্রথমে টিএমএসএস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন ধ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু

বঙ্গোপসাগরের চিসখালি নামক স্থানে ট্রালারসহ ১৫ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু মজনু বাহিনীর সদস্যরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় আশপাশে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা এগিয়ে এসে একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে জব্দকৃত অস্ত্র এবং আটককৃতদের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দরবাড়িয়ার চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরার সময় জেলেদের অপহরণের ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

বিএনপি মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা

রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬

আটক জলদস্যুরা হলেন- মাইজে ভাই হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্যামনগর উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল ইসলাম ও রহমত আলী। তারা তিনজন আত্মসমর্পণকারী বনদস্যু মজনুর দলের সদস্য।

দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “দুবলার চরের আলোকোল থেকে জেলেরা কয়েকটি ট্রালার নিয়ে মান্দরবাড়িয়ার বাহির সাগরের চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরতে যান। গতকাল রাতে বনদস্যু মজনু বাহিনীর ১০-১৫ জন সদস্য দুটি ট্রলারে এসে মাছধরা অবস্থায় জেলেদের ওপর হামলা চালায়। অস্ত্রের মুখে তারা ১৫ জেলেকে অপহরণ করে একটি ট্রলারে করে নিয়ে যায়।”

তিনি আরো বলেন, “এসময় আশপাশে থাকা মাছ ধরা অন্য ট্রলার এগিয়ে আসে। ওইসব ট্রলারের জেলেরা একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক জলদস্যুদের সুন্দরবনের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা। অপহৃত জেলেদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।”

শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা বলেন, “আটক বনদস্যুদের বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ডে। এখনো অপহৃতদের পরিবার আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। কোস্ট গার্ড অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮ রুটের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার
  • ন্যায্য মূল্যের পণ্য থেকে সাধারণ নাগরিকদের বঞ্চিত করায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল
  • ১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু