আকাশের বাবা বললেন, পুলিশ আমার ছেলের জীবন তছনছ করে দিলো
Published: 28th, January 2025 GMT
সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় অপরাধীকে ধরতে উঠে পড়ে লেগেছিল মুম্বাই পুলিশ। আর তাতেই হয়ে যায় একটা বড় ভুল। ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসাবে ছত্তিশগড়ের দুর্গ স্টেশন থেকে আটক করা করা হয় বছর ৩১ বছরের আকাশ কৈলাশ কানোজিয়াকে। শুধু আটক করাই নয় আরপিএফ কর্মীরা তার ছবিসহ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও দেয় যা টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। ফলস্বরূপ আকাশের বিয়ে বাতিল হয়ে যায়। চাকরিও যায়।
যদিও পরে জানা যায়, এই আকাশ কানোজিয়া আদৌ দোষী নন। প্রকৃত অপরাধী অন্যকেউ। আর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আকাশ কানোজিয়ার বাবা কৈলাশ।
অকারণে ছেলেকে হেনস্থার জন্য আকাশ কানোজিয়ার বাবা কৈলাশ বলেন, ‘পুলিশ আমার ছেলের পরিচয় যাচাই না করেই আটক করে। এই ভুল ওর জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে। এই মানসিক আঘাতের কারণে আকাশ কাজে মনোযোগ দিতেও পারছে না বা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও পারছে না। ও এখন নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছে। ঠিকমতো কথাও বলছে না। সব অনুপ্রেরণা হারিয়ে ফেলেছে।’
ক্ষুব্ধ কৈলাশ কানোজিয়া আরও বলেন, ‘লোকে বলছে আমার ছেলের সঙ্গে আসল অভিযুক্তের কোনও মিল নেই। অথচ এই ভুলের কারণে ওর চাকরি গেছে। বিয়েও ভেঙে গেছে। এর জন্য দায়ী কে? পুলিশের এই পদক্ষেপ আকাশের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিয়েছে।’
আটকের দিন জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন আকাশ কানোজিয়া। ছত্তিশগড়ের তার পৈত্রিকবাড়ি নেহলায় অসুস্থ দাদির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি। নেহলা যাওয়ার জন্য বিলাসপুরে ট্রেন বদল করার কথা ছিল তার। এদিকে ঠাকুমার সঙ্গে দেখা করার পর হবু কনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল আকাশের। তবে পুলিশের ভুলে সবই ওলটপালট হয়ে যায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল
অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।
তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ঢাকা/সৌরভ/রফিক