দেশের পর এবার নেপালে চলচ্চিত্র উৎসবে লড়বে বাংলাদেশের ‘আগন্তুক’ সিনেমা। ৮ম নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘ওয়ার্ল্ড প্যানারোমা’ বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে সিনেমাটি। নেপালের কাঠমান্ডুতে উৎসবের পর্দা উঠবে ২০ মার্চ। উৎসব চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত।

২০১৯-২০২০ সালে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘আগন্তুক’। এটি বিপ্লব সরকারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ২০২৩ সালে এশিয়ার বৃহত্তম চলচ্চিত্র আসর বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল। এরপর অস্ট্রেলিয়া, গোয়া, ঢাকা ঘুরে সিনেমাটি যাচ্ছে নেপালে।

 বিপ্লব সরকারের পরিচালনায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন রম্য রহিম চৌধুরী, তাজুল হক এবং বিপ্লব সরকার। কাজল নামের ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ঘিরে সিনেমার গল্প। মা ও অসুস্থ দাদীকে নিয়ে কাজলের সংসার। কাজলের বাবা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর একদিন আগন্তুকের মত পরিবারে ফিরে আসে। এই পরিবারটির টানাপোড়েন আর দ্বন্দ্বের গল্প সিনেমায় তুলে ধরেছেন পরিচালক বিপ্লব।

চলচ্চিত্রটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌসী মজুমদার, সাহানা রহমান সুমি, রতন দেব, মাহমুদ আলম, এহান, রাফসান, হৃদয়, হাসিমুন ও নাঈমা তাসনিমসহ অনেকে। চিত্রগ্রহণে ছিলেন মাজাহারুল রাজু, শিল্প নির্দেশনায় প্রতিথযশা শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান ও সাদ্দাম খন্দকার জয়, সাউন্ড ডিজাইন করেন সুকান্ত মজুমদার এবং সম্পাদনায় শঙ্খজিত বিশ্বাস ও বিপ্লব সরকার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

কুবিতে আইন অমান্য করে তারুণ্যের উৎসবের প্রচারণা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫। উৎসবকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব প্রচারণায় গাছে পেরেক মেরে বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গাছে পেরেক মারা পোস্টার দেখা যায়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , বিশ্ববদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর থেকে মুক্তমঞ্চে যাওয়ার রাস্তায় দুইপাশে থাকা গাছে পেরেক দিয়ে ব্যানার লাগানো হয়েছে। মুক্তমঞ্চ পার হয়ে শিক্ষকদের ডরমিটরি ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে উঠার রাস্তার আগ পর্যন্ত একই অবস্থা দেখা গেছে। এছাড়া, কৃষ্ণচূড়া রোডের গাছগুলোতেও পেরেক মেরে পোস্টার টানানো হয়েছে। 

এদিকে, গাছে পেরেক মেরে সাইনবোর্ড না লাগাতে ২০০২ সালের ৭ জুলাই জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। কিন্ত বাস্তবে সে আইন কার্যকর হয়নি। সিটি কর্পোরেশন আইন ১৯৯০ এর ৯২ ধারার ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানারসহ প্রচারপত্র সেঁটে দেওয়া এবং গাছে সাইনবোর্ড লাগানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইনের আওতায় ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধানও আছে।

দুঃখ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সম্পর্কিত সংগঠন অভয়ারণ্য কুবির সভাপতি তামিম মিয়া বলেন, “পেরেক লাগানো গাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পেরেক লাগানোর ফলে গাছের যে ছিদ্র হয়, ছিদ্র দিয়ে পানি এবং বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব প্রবেশ করার ফলে গাছগুলোর দ্রুত পচন ধরে।”

তিনি বলেন, “এতে খাদ্য ও পানি শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে গাছগুলো মারা যেতে পারে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা প্রয়োজন, সেখানে উল্টো গাছের ক্ষতি করে চলেছে। পরিবেশকে রক্ষার জন্য সকলের সচেতন হওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ এর আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, “আমি এই বিষয়টি জানতাম না। আমি এখনি বলে দিচ্ছি, যেন এগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। এর দায়িত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ ছিল না। যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের বলে দিচ্ছি।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জহির কোনো দিন ওর ধর্ম আমার ওপর চাপিয়ে দেয়নি: সোনাক্ষী
  • উৎসবে বিদায়ের সুর
  • চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২৮৭ কর্মচারীর কর্মবিরতি
  • ঈদের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা দাবি এমপিও শিক্ষকদের
  • ৫ আগস্টে অভ্যুত্থানের পেছনের নায়ক ছিলেন তারেক রহমান: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান
  • রমজানে খাদ্যদ্রব্য মজুদ ও ভেজাল করলে কঠোর ব্যবস্থা : ডিসি
  • কুবিতে আইন অমান্য করে তারুণ্যের উৎসবের প্রচারণা
  • এখনো ছবি আটকে আছে কেন
  • নবান্নের মতো আলু নিয়ে রাজশাহীতে অন্য রকম এক উৎসব
  • গ্যাংস্টারের ছেলে আর স্ট্রিপ ড্যান্সারের প্রেমের গল্প