রাজশাহী নগরের হড়গ্রাম ব্যাংকপাড়ার বাসিন্দা সুজন ইসলামের বাড়ির উঠোনে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে ছিল একটি ঈগল। অসুস্থ ঈগলটি নিয়ে কী করবেন ভেবে না পেয়ে সুজন ফোন করেন থানায়। পরে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ পাখিটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঈগল পাখিটি বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সোমবার বিকেলে সুজন ইসলামের বাড়িতে অসুস্থ ঈগলটি পড়ে থাকার খবর পায় কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ। খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন দ্রুত বাড়িটিতে পুলিশ পাঠান। পরে পাখিটিকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। 

তিনি আরো জানান, থানায় পাখিটির প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য রাজশাহী বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির থানা থেকে পাখিটি গ্রহণ করেন। বন বিভাগ পাখিটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।

ঢাকা/কেয়া/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ