বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় এবার এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। সোমবার নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায়  তল্লাশি চালিয়ে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া নারী মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে বর্তমানে মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এই নারীর সঙ্গে সাইফের হামলার ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ফকিরের যোগ রয়েছে। তার সাহায্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে পা দেয় শরিফুল।

গত ১৬ জানুয়ারি মধ্য়রাতে নিজের বাড়িতেই সাইফ আলী খানেও ওপর হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি। এলোপাথারি কোপানো হয় নায়ককে।  ভয়ঙ্কর কাণ্ডের পর বেশ কয়েক দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন নায়ক। এখন অনেকটাই সুস্থ। বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। ইতোমধ্যেই সেই রাতের ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে কী ঘটেছিল তা সঠিক একমাত্র সাইফই বলতে পারতেন। কারণ সে রাতে ওই পরিস্থিতিতে নায়কই মোকাবিলা করেছিলেন হামলাকারীকে। বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে সেই রাতের ঘটনার পুনঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাও দিয়েছেন সাইফ। বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বাই পুলিশ।

এরপর ২৩ জানুয়ারির সন্ধ্যায় নিজের বক্তব্য পুলিশকে জানিয়েছেন অভিনেতা। সাইফ তার বয়ানে বলেন, সেই রাতে তখন আমি আর কারিনা ছিলাম ১১ তলায় নিজেদের শোওয়ার ঘরে। রাতে আচমকাই শুনতে পাই ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের চিত্‍কার। 

সাইফ জানিয়েছেন, ছেলের চিত্‍কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে তার ঘরে যান সাইফ এবং কারিনা। সেখানেই ছিলেন হামলাকারি। গৃহকর্মী আলিয়ামা ফিলিপসও ভয়ে পেয়ে চিত্‍কার করছিলেন। আর ভয়ঙ্কর কাঁদছিলেন জেহ।

তখনই সেই হামলাকারিকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। তখনই সেই ব্যক্তি সাইফের পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েক বার ছুরির আঘাত করেন। তারপরেও সাইফ অনুপ্রবেশকারীকে ঘরের ভেতরে ঠেলে দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।

এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ