থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
Published: 28th, January 2025 GMT
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে থানা থেকে লুট হওয়া একটি শটগান বুলেটসহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম।
এর আগে গতকাল সোমবার সোনাইমুড়ী থানার সামনের একটি নালা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সোনাইমুড়ী থানার সামনে শ্মশানঘাট সংলগ্ন নালায় স্থানীয় এক ব্যক্তি মাছ ধরতে যায়। এ সময় তিনি নালায় শটগানটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বুলেটসহ অস্ত্রটি উদ্ধার করে। অস্ত্রটি দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ব্যারেলসহ লোহার অংশে জং ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। উদ্ধারকৃত কার্তুজটিও দীর্ঘদিন পানিতে থাকায় অকেজো হয়ে পড়েছে।
ওসি মোরশেদ আলম বলেন, “গত ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তরা হামলা করে থানা থেকে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয় এক ব্যক্তির বরাতে লুন্ঠিত একটি ১২ বোর শটগান (যাহার বাট নং-অস্পষ্ট) ও ১ রাউন্ড রাবার কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে সোনাইমুড়ী থানা থেকে পুলিশের লুট হওয়া আনুমানিক চৌদ্দটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি।”
ঢাকা/সুজন/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’