পরীমণির জীবনে নতুন মুখ, কে এই সাদী
Published: 28th, January 2025 GMT
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ঢালিউড চিত্রনায়িকা পরীমণি। আদালতে জামিনের রায় শুনে কেঁদে ফেলেন এই নায়িকা। এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরে পরীমণির পাশে নতুন করে এক তরুণকে দেখা যাচ্ছে। পরীমনির ফেসবুক পেজে এই তরুণকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। তাতে পরীমনি লিখেছেন, ‘.
গত সোমবার পরীমণির সঙ্গে আদালতেও দেখা গিয়েছে ওই তরুণকে। এবার জানা গেল আদালতে পরীমণির জামিনদারও হয়েছেন তিনি। তরুণ শোবিজ অঙ্গনের বেশ পরিচিত মুখ। তিনি সংগীতশিল্পী শেখ সাদি খান। পরীর জামিনদার হওয়া তরুণকে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে শেখ সাদী বলেন, ‘পরীমণি আমার সহকর্মী। তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবর শুনে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। তখন পরীমণির সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। জামিন হওয়ার পর তার আইনজীবী একজন জামিনদার হন। আমিও আরেকজন জামিনদার হয়েছি।’
শেখ সাদী জানান, একই অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে পরীমনির সঙ্গে বেশ আগেই পরিচয় হয়েছিল। তখন থেকে পেশাগত বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হয়। তরুণ গায়ক শেখ সাদীর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান রয়েছে। ইউটিউবে এসব গানের ভিউ কোটি পার হয়েছে।
শেখ সাদীর জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা পরীমণি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হঠাৎ করে আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম বলে আদালতে যেতে পারিনি। যখন শুনলাম, আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। খবরটি যখন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তখন আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার বন্ধুবান্ধবেরা আমাকে সাহস জুগিয়েছে। শেখ সাদীও আমার সহকর্মী। গতকাল আদালতে শুনানির সময় সে ছিল। জামিন পাওয়ার পর আইনজীবী জামিনদারের পাশাপাশি স্থানীয় একজন জামিনদারের প্রয়োজন হয়। শেখ সাদী তখন জামিননামায় স্বাক্ষর করে।’
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী। শেখ সাদী ছাড়া পরীমণির আরেকজন জামিনদার তিনি। নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, আদালতের জামিন আদেশের পর পরীমণি জামিননামা লেখা হয়। আমি জামিনদার হয়েছি। আরেকজন জামিনদার হয়েছেন শেখ সাদী। জামিননামাটি আদালতে জমাও দিয়েছি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি-জামায়াত লড়াই, বর্জন আ’লীগ-বামদের
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বর্জন করেছে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও বামপন্থিদের গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি। তাদের অনুপস্থিতিতে সভাপতি ছাড়া অন্য পদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন জামায়াতের আইনজীবীরা।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হবে। গত মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পর প্রচার শুরু হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা মোখলেছুর রহমান বাচ্চু জানান, সভাপতি প্রার্থী মজিবুর রহমান নান্টু, আলী হায়দার বাবুল ও এস এম সাদিকুর রহমান লিংকন বিএনপিপন্থি। সহ-সভাপতি পদে বিএনপির দুই প্রার্থী অসীম কুমার বাড়ৈ ও তারিকুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে মির্জা মো. রিয়াজ হোসেন ও তারিকুল ইসলাম বিএনপির, অন্য প্রার্থী সালাউদ্দিন মাসুম জামায়াত নেতা। অর্থ সম্পাদক পদে বিএনপির আব্দুল মালেকের বিপরীতে রয়েছেন জামায়াতের ফরিদ উদ্দিন। যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে বিএনপির প্রার্থী বিউটি সুলতানা ও আবদুর রহমান চোকদারের বিরুদ্ধে জামায়াতের মনির হোসেন ও রুহুল আমিন প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্যর চার পদের বিপরীতে ছয়জনই বিএনপিপন্থি।
গত বছর নির্বাচনে ১১ পদের মধ্যে সভাপতি, সম্পাদকসহ ১০টিতে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ জয় পায়। গত ১ জানুয়ারি বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা জরুরি সভা করে বিজয়ীদের অপসারণ করে গতবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পরাজিত সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে আওয়ামী ও বামপন্থিরা নির্বাচন বর্জন করেছে।
আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি লস্কর নুরুল হক জানান, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অবৈধভাবে জরুরি সভার নামে কমিটি দখল করেছে। প্রতিবাদে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা মোখলেছুর রহমান বাচ্চু জানান, আওয়ামী ও বামপন্থি আইনজীবীদের অংশ নিতে আহবান জানানো হলেও আসেননি। এ দায় আমাদের নয়।