সকালে জাতীয় দলের বড় পরাজয়ে শুরু হলেও দিন শেষে দুর্দান্ত জয়ে দিনটি রাঙিয়ে দিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে জুনিয়র টাইগ্রেসরা।  

বৃষ্টির কারণে ১৩ ওভারের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানরা নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ৫৪ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৬ রান করেন অমৃতা রামতাহাল। এছাড়া নাইজান্নি কুমারব্যাচ ১৩ এবং আসাবি ক্যালেন্ডার ১১ রান করেন। বাকিরা দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে ব্যর্থ হন।  

৫৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ওপেনাররা কোনো সমস্যাই অনুভব করেননি। ফাহমিদা ছোঁয়া ও জুয়াইরিয়া ফেরদৌসের ব্যাটে ভর করে ৮.

৫ ওভারেই জয় তুলে নেয় টাইগ্রেসরা। ফাহমিদা ২৫ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন, আর জুয়াইরিয়া ২৮ বলে অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।  

এর আগে বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ঝলক দেখান নিশিতা আক্তার নিশি, যিনি তিনটি উইকেট নেন। আনিসা আক্তার সোবা শিকার করেন দুটি উইকেট। তবে ক্যারিবিয়ানরা ১৬টি অতিরিক্ত রান দিয়েও নিজেদের বিপদ ডেকে আনে।  যদিও আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে সুমাইয়া আক্তারের দলের, তবে শেষ ম্যাচের এই বড় জয় কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে দলকে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ