বাংলাদেশ-ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে এর আগে কথা বলেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এবার একই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী, অভিনেতা, পরিচালক অঞ্জন দত্ত। তার মতে, বাংলাদেশ-ভারতের অশান্তিতে ক্ষতি হচ্ছে দুই দেশের হচ্ছে।

সোমবার পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘কলকাতা এবং ঢাকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে বাংলাদেশের সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এই দুই দেশেরই খুব বড় একটা বাজার রয়েছে। এটি দুই দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অঞ্জন দত্তের একটি বড় ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে। অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘রাজনীতি মানুষকে ভাগ করে দেয়, কিন্তু শিল্প ঐক্যবদ্ধ করে।’

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি চাই বর্তমান অচলাবস্থার দ্রুত সমাধান হোক। শিল্প এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আমাদের একটা বড় বাজার রয়েছে। সেটা দুই দেশের জন্য খুলে যাওয়া প্রয়োজন। এতে দুই পক্ষেরই উপকার হবে। বাংলাদেশে অনেক সংবেদনশীল মানুষ রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই দারুণ সিনেমা নির্মাতা, থিয়েটার ব্যক্তিত্ব এবং গায়ক। এত সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে বলি দেওয়া উচিত নয়।’

তিনি মতে, আমি বরাবরই শিল্পক্ষেত্রে রাজনীতির বিরোধী। রাজনীতি মানুষকে ভাগ করে, অথচ শিল্প মানুষকে একত্রিত করে।

অঞ্জন দত্ত অভিনীত ‘এই রাত তোমার আমার’ শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে। এই সিনেমায় তার সহ-অভিনেতা হিসেবে থাকছের অপর্ণা সেন। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এই সিনেমায় এক বৃদ্ধ দম্পতির সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরা হয়েছে।

বর্তমান প্রজন্মের পরিচালকরা অভিনয়ের তুলনায় প্রযুক্তিগত দিক নিয়েই বেশি চিন্তিত বলে আক্ষেপ করেন অঞ্জন দত্ত। তিনি বলেন, ‘অ্যাক্টর্স ডিরেক্টরের কনসেপ্টটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। এখনকার পরিচালকরা লেন্স এবং ড্রোন শট নিয়েই বেশি ব্যস্ত। ফলে অভিনেতারা অনেক সময় অসহায় বোধ করেন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর চ ল র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ