সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

সরকারি চাকরিজীবীরা কী মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন- সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে এখনো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।

তাহলে কি মহার্ঘ ভাতার বিষয় থেকে সরকার সরে আসছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিল? সাংবাদিকরা জানান, জনপ্রসাশন সচিব নিজেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না। আমরাতো ঘোষণা দেয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব আসলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব, দেব কি দেব না।

এ সময় সাংবাদিকদের জানতে চান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো প্রস্তাবনা গেছে কিনা? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, আমরা তো এখনো ঘোষণা দেয়নি। এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। 

সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে, এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা। তবে আপাতত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ল হউদ দ ন আহম দ উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহিণী স্ত্রী ও মেয়েকে ব্যাংকের পরিচালক বসিয়ে দিচ্ছি, এটা চাই না: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘গৃহিণী স্ত্রী ও মেয়েকে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে বসিয়ে দিচ্ছি। তাঁদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নেই। আমরা এসব চাই না।’

আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘ব্যাংকের পরিচালক হতে ফিট অ্যান্ড প্রপার টেস্ট (অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা পরীক্ষা) পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যাঁরা এখন পরিচালক আছেন, তাঁরাসহ সবাইকে এই যাচাই–বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার গুণাবলি থাকতে হবে। ব্যাংকের মালিকদেরও এই যাচাই–বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যোগ্যতা থাকলে মালিকেরা পরিচালক হবেন, যোগ্যতা না থাকলে হবেন না। সিটি ব্যাংক এনএর মালিক কারা, তা কেউ জানেন না।’

ব্যাংক খাতের পুনরুদ্ধারের পথযাত্রা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন। ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। ইস্কাটনে পত্রিকার কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা হয়।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সরকারের ঋণ নিয়ে একটি চক্রের মধ্যে আছি। আমি সেই লোক নই যে চাটুকারিতা করে টাকা আনব। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি শক্তিশালী অবস্থায় আছে। বাজেট অর্থের জোগানের একমাত্র সমাধান হচ্ছে রাজস্ব আদায়।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আদায় ভালো হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দিকে তাকাতে হবে না। এ বছর ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার আসবে প্রবাসী আয় থেকে। আর রপ্তানি থেকে আসেব পাঁচ হাজার কোটি ডলার। এই দুটি খাত থেকে প্রায় আট হাজার কোটি ডলার পাব।’ তিনি মনে করেন, ‘আমাদের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর নীতি দরকার।’

মূল্যস্ফীতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর। তিনি মনে করেন, মূল্যস্ফীতি কমলে সব ধরনের নীতি সুদহার কমে আসবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ