২০২৪-এর জুন মাসে শুরু হয়েছিল দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা ও সালমানের ‘সিকান্দার’ সিনেমার শুটিং। শুটিং চলার কিছু দিন পরে সালমান পাঁজরে চোট পাওয়ার কারণে বন্ধ ছিল কাজ। সালমানের বাড়িতে গুলি চলার কারণেও শুটিং বন্ধ ছিল। এবার রাশমিকার পায়ের আঘাতে ফের স্থগিত শুটিং।

শুটিং তো বন্ধ আছেই। রাশমিকা মান্দানা বাতিল করেছেন সিনেমার প্রচার, স্থগিত হয়েছে একাধিক অনুষ্ঠান। পায়ের চোট বড্ড ভোগাচ্ছে দক্ষিণী এই অভিনেত্রীকে। অবস্থার উন্নতিও হয়নি। রাশমিকা জানিয়েছেন, পায়ের ব্যথায় ঠিকমতো দাঁড়াতেই পারছেন না।

তবে অসুস্থতা সত্ত্বেও বসে নেই রাশমিকা। অভিনয় করতে না পারলেও সিনেমার প্রচারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মুম্বাইয়ে একটি সিনেমার ট্রেলার মুক্তির দিনে অভিনেত্রী কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন। সেখানে দাবি করেন, একদমই ভালো নেই তিনি।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাশমিকা হুইলচেয়ারে বসেই তৈরি হচ্ছিলেন। পরে তার সহ-অভিনেতা ভিকি কৌশল তাকে মঞ্চে উঠতে সাহায্য করেন। সেসব ছবিই পরে ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন রাশমিকা।

ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমায় খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন সবাই। কিন্তু, একেবারেই বাহ্যিক। পায়ের ভেতরে তিনটি ফ্র্যাকচার। যার জন্য যন্ত্রণায় পেশি ছিঁড়ে যাচ্ছে। আমি দুই সপ্তাহ পা নামাতে পারিনি। সত্যিই সোজা হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা খুব মিস করি।’

কদিন ধরে পায়ের যন্ত্রণায় অস্থির রাশমিকা ভক্ত-সমর্থকের উদ্দেশ্যে একটি মেসেজও দিয়েছেন, ‘দয়া করে আপনারা নিজেদের শরীরের যত্ন নিন। শরীরকে অবহেলা করবেন না।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গল গ্রহ লাল কেন

দূর থেকে মঙ্গল গ্রহকে একটি বিশাল লোহার লাল বলের মতো মনে হয়। মঙ্গল গ্রহের লাল রঙের রহস্য জানতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকীতে মঙ্গল গ্রহের রং লাল কেন, তা নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে থাকা পানিতে নানা ধরনের খনিজ ছিল। পানিতে থাকা আয়রন খনিজ ফেরিহাইড্রাইটের কারণে মঙ্গল গ্রহে লাল ধূলিকণা তৈরি হতে পারে। এর ফলে মঙ্গল গ্রহের রং লাল দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অ্যাডাম ভ্যালান্টিনাস জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহ কেন লাল রঙের, এমন একটি মৌলিক প্রশ্ন শত শত বছর ধরে করা হচ্ছে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে ফেরিহাইড্রাইট ধূলিকণা সর্বত্র রয়েছে। সম্ভবত বিভিন্ন শিলার গঠনেও এই উপাদান রয়েছে। নতুন গবেষণার তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহ অতীতে বাসযোগ্য ছিল।

বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য জানতে একাধিক মঙ্গল মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী অ্যাডাম ভ্যালান্টিনাস বলেন, ‘আমরা প্রাচীন মঙ্গলের জলবায়ু সম্পর্কে জানতে চাই। মঙ্গলের বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাই। মঙ্গল গ্রহের বাতাসের মাধ্যমে খনিজসমৃদ্ধ ধূলিকণা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে বলে গ্রহের আইকনিক লাল চেহারা তৈরি হয়েছে।’

বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গল গ্রহে অতীতে শীতল কিন্তু আর্দ্র ও সম্ভাব্য বাসযোগ্য জলবায়ু ছিল। মঙ্গল গ্রহের বর্তমান বায়ুমণ্ডল ঠান্ডা ও পাতলা হওয়ার কারণে তরল পানি ধারণ করার উপযোগী নয়। দীর্ঘ সময় ধরে এমন বায়ুমণ্ডল দেখা যাচ্ছে মঙ্গল গ্রহে।

সূত্র: নাসা

সম্পর্কিত নিবন্ধ