আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। তাদের আইনজীবী খালিদ ইউসুফ ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এই আপিল আবেদন জমা দেন। খবর সামা নিউজের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৭ জানুয়ারি ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির অভিযোগে করা ওই মামলায় ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা এবং বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন পাকিস্তানের জবাবদিহি আদালত। সেই রায়কেই ইসলামাবাদ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তারা।

ইমরানের আবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অসাংবিধানিকভাবে অপসারণের পর তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২৮০টি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ। অসম্পূর্ণ তদন্তের ভিত্তিতে জবাবদিহি আদালতের সিদ্ধান্তকে তাড়াহুড়ো ও অন্যায্য বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এ আবেদনে। পিটিশনে ইমরান ও বুশরাকে এ দুর্নীতি মামলায় সাজা বাতিল করে খালাস দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে পিটিআই-সরকার আলোচনা নিয়ে বিরোধীদের ইউটার্নের কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তান সরকারের সমঝোতা কমিটির মুখপাত্র ইরফান সিদ্দিকী। বিরোধীরা আলোচনার শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ তার। তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, আলোচনা তাদের দক্ষতার ক্ষেত্র নয়; তাদের দক্ষতা অন্য জায়গায়। বিরোধীদের সময়সীমা মানার অনুরোধের সঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে সমঝোতা কমিটির মুখপাত্র আরও বলেন, স্পিকার আয়াজ সাদিকের নির্ধারণ করা সময়ে তারা বৈঠকে না এলে, আমরা তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইমর ন খ ন ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ময়বালকের আজ ৫২: রূপকথার শচীন, শচীনের রূপকথা

সৌরভের কল্যাণে দুই-একটা বাংলা শব্দ শিখেছেন। তাই বলে বাংলায় একটা আস্ত বই পড়ে ফেলতে পারার প্রশ্নই ওঠে না। আমার বই পড়ার জন্য অনুবাদক ভাড়া করেছেন বা করবেন বলেও মনে হয় না। এমন কিছু হয়েছে শুনলে আমি নিজেই অজ্ঞান হয়ে যাব। যতটা না আনন্দে, তার চেয়ে বেশি বিস্ময়ে। আমরা তাই ধরে নিতে পারি, আমার লেখা 'শচীন রূপকথা' বইটি শচীন টেন্ডুলকার পড়েননি।

তবে না পড়লেও বইটা যে শচীন টেন্ডুলকারের কাছে আছে, এটা আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি। কীভাবে? আমি নিজেই যে সেটি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছি। শচীন নিজে না বললে অবশ্য তা প্রমাণ করতে পারব না। দুটি বই শচীনকে উপহার দিয়েছি, আর দুটিতে অটোগ্রাফ নিয়ে সযত্নে রেখে দিয়েছি আমার কাছে। তাতে অবশ্য বইটি যে শচীন টেন্ডুলকার দেখেছেন, বড় জোর এটি প্রমাণ হয়। বইটা তাঁর কাছে আছে, এর প্রমাণ কী? না, আসলেই কোনো প্রমাণ নেই। আমি শুধু আমাকে বিশ্বাস করতে অনুরোধই করতে পারি। শচীনের মুম্বাইয়ে বান্দ্রায় পেরি ক্রস রোডের ফ্ল্যাটে বইটি দেখে এসে আমার এক বন্ধু সাংবাদিক আমাকে তা জানিয়েছেন। এখন বিশ্বাস করা না-করা আপনার ব্যাপার।

লেখকের ‘শচীন রূপকথা’ বইয়ে শচীন টেন্ডুলকারের সই। ছবি: লেখক

সম্পর্কিত নিবন্ধ