রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ইমরান-বুশরা
Published: 28th, January 2025 GMT
আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। তাদের আইনজীবী খালিদ ইউসুফ ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এই আপিল আবেদন জমা দেন। খবর সামা নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৭ জানুয়ারি ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির অভিযোগে করা ওই মামলায় ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ রুপি জরিমানা এবং বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন পাকিস্তানের জবাবদিহি আদালত। সেই রায়কেই ইসলামাবাদ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তারা।
ইমরানের আবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অসাংবিধানিকভাবে অপসারণের পর তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২৮০টি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ। অসম্পূর্ণ তদন্তের ভিত্তিতে জবাবদিহি আদালতের সিদ্ধান্তকে তাড়াহুড়ো ও অন্যায্য বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এ আবেদনে। পিটিশনে ইমরান ও বুশরাকে এ দুর্নীতি মামলায় সাজা বাতিল করে খালাস দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে পিটিআই-সরকার আলোচনা নিয়ে বিরোধীদের ইউটার্নের কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তান সরকারের সমঝোতা কমিটির মুখপাত্র ইরফান সিদ্দিকী। বিরোধীরা আলোচনার শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ তার। তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, আলোচনা তাদের দক্ষতার ক্ষেত্র নয়; তাদের দক্ষতা অন্য জায়গায়। বিরোধীদের সময়সীমা মানার অনুরোধের সঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে সমঝোতা কমিটির মুখপাত্র আরও বলেন, স্পিকার আয়াজ সাদিকের নির্ধারণ করা সময়ে তারা বৈঠকে না এলে, আমরা তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করব।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির টেলিকনফারেন্স
যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।