চলমান বিপিএলে ভুলে যাওয়ার মতো সময় পার করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলটি আসর থেকে বিদায় নিয়েছে সবার আগে, যা তাদের জন্য দুঃখজনক। টুর্নামেন্ট শুরুতেই হ্যাটট্রিক পরাজয়ের ধাক্কা খায় সিলেট। এরপর মাত্র দুটি জয় তুলে নিতে পারে তারা, আর টানা ছয় ম্যাচে হার দিয়ে লিগ পর্ব শেষ করে। সর্বশেষ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারে সিলেট।  

এবারের আসরে বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে তেমন কোনো অবদান পায়নি সিলেট। তাদের পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না। দেশি ক্রিকেটাররাও ব্যাটে-বলে সাফল্যের ছাপ রাখতে ব্যর্থ হন। সেই সঙ্গে ইনজুরি পুরো দলকে বিপর্যস্ত করেছে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার রনি তালুকদার, যিনি আগের দশটি ম্যাচ খেলেছেন, রাজশাহীর বিপক্ষে ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকতে বাধ্য হন।

রাজশাহীর বিপক্ষে হারের পর হতাশা প্রকাশ করেন সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল হক। তিনি বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য খুবই বাজে গেছে। এরকম অভিজ্ঞতা আগে কখনো হয়নি। আজকেও (গতকাল) রনি সকালে বললো, তার ঘাড়ে সমস্যা হয়েছে, খেলতে পারবে না। শেষ ম্যাচেও কেউ না কেউ এমন কথা বলবে। ইনজুরির কারণে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ভুগতে হয়েছে আমাদের।’  

বিদেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করে আরিফুল যোগ করেন, ‘রাকিম কর্নওয়াল, জর্জ মুনসে, পল স্টার্লিং—সবাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বড় নাম। কিন্তু তারা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি। যদি তারা নিজেদের সেরাটা দিতে পারতো, ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।’  

এবারই প্রথম বিপিএলে অধিনায়কত্ব করেছেন আরিফুল হক। ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা থাকলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের নেতৃত্ব দেওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে উল্লেখ করেন তিনি। আরিফুল বলেন, ‘প্রথমবার অধিনায়কত্ব করে বুঝেছি, কত চাপের মধ্যে থাকতে হয়। এটা জীবনের দারুণ এক অভিজ্ঞতা। অনেক কিছু মেইনটেইন করতে হয়।’  

সিলেটের আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি, যা বৃহস্পতিবার চিটাগং কিংসের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও সিলেট অন্তত এই ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চায়। আরিফুল বলেন, ‘শেষ ম্যাচটা জিততে পারলে অন্তত কিছুটা শান্তি পাওয়া যাবে। আশা ছাড়া পারফর্ম করা কঠিন। তবে আমরা সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। ভালো পারফর্ম করতে পারলে দলের সবারই ভালো লাগবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল আর ফ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ কি আরও খেলবেন—জানতে চাইবে বিসিবি

এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই হবে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্য শেষ—এমন একটা সম্ভাবনা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিতই হয়ে গিয়েছিল। তবে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেলেও অবসর নিয়ে নিজেদের কোনো ভাবনার কথা জানাননি সাবেক দুই অধিনায়ক। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলীয় পারফরম্যান্সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও ছিল বেশ খারাপ।

আরও পড়ুনবদলে গেল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম১ ঘণ্টা আগে

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ম্যাচে মুশফিক শূন্য ও ২ রানে আউট হয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ৪ রান করে। তাঁদের অবসর নিয়ে কথাবার্তা তাই আরও বেশি হচ্ছে।

এ নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয় আজ বোর্ড সভার পর। জবাবে ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন বলেছেন, ‘অবশ্যই। ওরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। যেকোনো খেলোয়াড়েরই একটা সময় আসবেই তার ক্যারিয়ার শেষ করার। আমার মনে হয়, ওদের সঙ্গে কথা বলব—ওদের চিন্তা কী আছে, সেটা নিয়ে আলাপ হবে।’

বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্রিকেটারদের বেতন–ম্যাচ ফি বাড়ছে, টেস্ট ক্রিকেটারদের ‘একটু বেশি’
  • মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি, থাকছেন
  • ভারত-অস্ট্রেলিয়া: নকআউট পর্বে কার রেকর্ড কেমন?
  • মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ কি আরও খেলবেন—জানতে চাইবে বিসিবি
  • ইফতেখারের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে মোহামেডানের হোঁচট
  • স্বপ্নের ঘোরে নেইমার, জাগাতে নিষেধ
  • নিউজিল্যান্ডের অনেক কিছু পাওয়ার ম্যাচ
  • সামনের দশকেই শিরোপা জেতবে আফগানরা: স্টেইন 
  • ইংল্যান্ড হারলে বাড়তি কত টাকা পাবে বাংলাদেশ?
  • ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে ফিরলেরন শান্ত-মুশফিকরা