ইদানিং নজরকাড়া একাধিক লুকে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাসকে। অপু বিশ্বাস হঠাৎ লাল টুকটুকে সাজে দেখা দিলেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একাধিক স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন তিনি। হঠাৎ এমন সাজে চমকে গেছেন ভক্তরা।

এই নায়িকাকে একেবারে আবেদনময়ী লুকে দেখা গেছে। গাঢ় লাল গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁটের লিপস্টিক। চোখের মনিতে বাদামি রঙ ফুটে উঠেছে। আর আইলাইন ছুঁয়ে গেছে সাদা কাজল। চোখের ওপরের পাপড়িতে কালো গাঢ় মাশকারা। চোখের কোনা বেয়ে সামান্য দূরে এগিয়েছে কাজলের উইং শেপ। 

আরো পড়ুন:

পাঁচ মিনিটে মেকআপ করার উপায়

ডাবল চিনের সমস্যা দূর করার উপায়

অপু বিশ্বাসের কানে শোভা পাচ্ছে এক পাথরের টপ। দুই গালে ছুঁইয়ে দেওয়া হয়েছে হালকা ব্লাশ। ভ্রু যুগল সাজানো হয়েছে কাজলে। অপুর বড় বড় নখে শোভা পাচ্ছে সাদা নেইল পলিশ। অনামিকায় পরেছে আংটি। আর গলায় চিকন চেইন। চুলগুলো ব্যাকব্রাশ করে আটকে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আবেদনময়ী রূপে দেখা দিয়েছেন ঢালিউড কুইন।

ফুলস্লিভ লাল পোশাকে অপুকে সাহসী দেখাচ্ছে। তাকে এই রূপে সাজিয়ে দিয়েছে ‘ফেস বাই সালেহা’। স্টাইলিংয়ে ‘কাদরী’। অপু পরেছেন ‘সেলিব্রেটি চয়েস’-এর পোশাক। ফটোগ্রাফীতে ছিলেন মোবারক ফয়সাল।

অপুর পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, লাল ড্রেসে একটা পরী রূপে লাগছে। আরেকজন লিখেছেন, আজকে উরাধুরা সাপোর্ট হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন অপু বিশ্বাস। প্রথম চলচ্চিত্র ছিল আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ‘কাল সকালে’।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নদী-খালের বুকে জেগে ওঠা এক মায়ার শহর খুলনা

‘ঘুরে এলাম খুলনা শহর রূপসা নদীর তীরে, রূপসা নদীর রূপের মায়া ডাকে ফিরে ফিরে, পুরোনো এই নগরী তো ইতিহাসে ভরা, যেমন তাহার গুণের বাহার রূপেতেও সে সেরা।’ খুলনা শহরকে নিয়ে এমন ছন্দে ছন্দে কবিতা লিখেছেন অবিরুদ্ধ মাহমুদ। কবিতার নাম দিয়েছেন ‘ঘুরে এলাম খুলনা’।

আসলেই খুলনা এক মায়ার শহর, সমৃদ্ধ শহর, কোলাহলমুক্ত নির্মল শ্বাস নেওয়ার শহর। যেখানে নদী গল্প বলে আর খাল গেয়ে ওঠে ইতিহাসের গান। বহুকাল আগে, যখন পদ্মা ও মেঘনার মিলিত স্রোতে দক্ষিণ বাংলার বুক চিরে বয়ে চলত রূপসা, ভৈরব আর আটরা খাল, তখন এই অঞ্চল ছিল নিবিড় বনভূমি ও জলাভূমির এক বিস্ময়কর মিশেল। ইতিহাস বলে, খুলনার গোড়াপত্তন হয়েছিল নদীপথকে ঘিরেই। স্থানীয় লোককথা, প্রত্নতত্ত্ব ও সাহিত্যিক দলিল মিলিয়ে খুলনার জন্মকথা যেন এক রূপকথারই প্রতিচ্ছবি।

‘খুলনা’ নামকরণটি নিয়েও অনেক কিংবদন্তি ও গল্প প্রচলিত আছে। অনেকের মতে, ‘খুলনা’ নামটি এসেছে ‘খুল্লতন নগর’ থেকে, যেখানে দেবতা শিবের পূজা–অর্চনা হতো। আবার কারও মতে, ‘খুল’ মানে জলপথ বা খাল, আর ‘না’ মানে নদীর প্রবাহ থামা। অর্থাৎ যেখানে খাল থেমে নদীতে মেশে, সেখান থেকেই নাম হয়েছে ‘খুলনা’।

খুলনার পুরাকীর্তি নামে একটি বই লিখেছেন মিজানুর রহমান। তিনি বর্তমানে ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, এক সওদাগরের দুই মেয়ে ছিল। এক মেয়ের নাম খুল্লনা ও আরেকজনের নাম ছিল অহনা। ধারণা করা হয়, ওই সওদাগর তাঁর মেয়ের নামানুসারে শহরের নাম রাখেন খুলনা। এ ছাড়া সপ্তদশ শতকে খুলনার ভৈরব নদ থেকে ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধার করা হয়। সেই জাহাজের গায়ে Culna শব্দটি লেখা ছিল। ব্রিটিশ আমলে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়, সেখানেও খুলনাকে Culna লেখা হয়।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৫ শতকে সুফি সাধক খানজাহান আলী যখন দক্ষিণ বাংলায় আসেন, তখন তিনি সুন্দরবনের প্রান্তঘেঁষা এ অঞ্চলটিকে সভ্যতার আলোয় আলোকিত করেন। তাঁরই নেতৃত্বে খনন করা হয় নানা দিঘি, খাল ও রাস্তা। ‘ডাকাতদের জনপদ’ থেকে ‘আধ্যাত্মিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র’—এই রূপান্তরের শুরু সেখান থেকেই।

অনেক পুরোনো শহর খুলনা। শহরের মিউনিসিপ্যাল বোর্ড গঠিত হয় ১৮৮৪ সালে। খুলনা শহরের রয়েল মোড়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ