সিলেটে সড়কে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর
Published: 28th, January 2025 GMT
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের উমনপুর নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় দুলাল আহমেদ (৪৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুলাল জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে মোটরসাইকেলযোগে হরিপুর থেকে চিকনাগুল যাওয়ার পথে উমনপুর ট্রানিং এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। পরে দুলাল আহমেদকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। তবে কিসের সাথে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সে বিষয়ে জানা যায়নি।
তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “দুর্ঘটনার কারন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/নুর/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।
নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।