বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল টানাপোড়েন। নেইমার আল হিলালে থাকবেন নাকি থাকবেন না, তা নিয়ে চলছিল নানান কথা। অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নিয়েই ফেললেন নেইমার। সৌদি আরবের পাঠ চুকিয়ে দিয়েছেন তিনি। আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। সৌদি ক্লাবটি সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।  

২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিকে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। তবে ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই চোট সমস্যা পিছু ছাড়েনি তার। দুই দফায় দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে এই তারকাকে। আল হিলালের হয়ে প্রায় দেড় বছরের ক্যারিয়ারে নেইমার খেলেছেন মাত্র সাতটি ম্যাচ। চলতি মৌসুমে তার মাঠে নামা হয় কেবল দুইবার। এই সময়ের মধ্যে সাফল্য বলতে মাত্র একটি গোল এবং দুটি অ্যাসিস্ট। 

আল হিলালের সঙ্গে নেইমারের চুক্তি ছিল ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে চোটের কারণে মাঠে অনিয়মিত থাকায় ক্লাবটি ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের সঙ্গে নতুন কোনো পরিকল্পনায় এগোতে আর আগ্রহ দেখায়নি।  

আল হিলাল তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'নেইমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার চিন্তাভাবনাকে আমরা সম্মান জানাই। তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং সুন্দর ও সফল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।'

Full club statement ???? pic.

twitter.com/oxOrPUereF

— AlHilal Saudi Club (@Alhilal_EN) January 27, 2025

এদিকে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, সান্তোসে যোগ দেওয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি সুপারস্টার নেইমার। সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, নেইমার সান্তোসে ফেরার খুবই কাছে।

নেইমারের ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন ছিল। জুটি গড়ার সম্ভাবনা ছিল বন্ধু মেসি ও সুয়ারেজের সঙ্গে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব সিকাগোতে যোগ দেওয়ার কথাও শোনা গিয়েছিল। তবে নেইমার জাতীয় দলে ফিরতে চান। খেলতে চান ২০২৬ সালের যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে। যে কারণে ফর্মে ফিরতে ও নিয়মিত খেলতে সান্তোসকে বেছে নিচ্ছেন তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আল হ ল ল র

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ