খুলনায় ভবন দখলের নেতৃত্ব দেওয়া গণঅধিকার পরিষদের নেতাকে অব্যাহতি
Published: 28th, January 2025 GMT
খুলনা নগরীর পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্রের কার্যালয় ভবনটি দখলের অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস কে রাশেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সোমবার সকালের দিকে নগরীর শান্তিধাম মোড়ে অবস্থিত দোতলা ভবনের তালা ভেঙে পঞ্চবীথির সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে সেখানে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানার টানান নেতাকর্মী। এর নেতৃত্বে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম রাশেদ। তিনি এসকে রাশেদ নামে পরিচিত। বিষয়টি নিয়ে সমকাল অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ওই নেতাকে অব্যাহতি দিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গণঅধিকার পরিষদ, খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় জ্বালানি বিষয়ক সহ সম্পাদক এস কে রাশেদকে দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।’
ক্লাব সদস্যরা জানান, নগরীর শান্তিধাম মোড়ের একটি দোতলা ভবনে প্রায় ১৪ বছর ধরে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্রের কার্যালয় রয়েছে। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মোল্লা জানান, ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে তারা ক্লাবের কার্যালয় করেন। বরাদ্দ নেওয়ার পর যুবলীগ নেতা নাহিদ মুন্সী তাঁর মায়ের নামে ভুয়া বরাদ্দ নিয়ে আসেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা করে ক্লাব কমিটি। মামলাটি আদালতে চলমান। বরাদ্দ নেওয়ার পর থেকেই ভবনটিতে পঞ্চবীথির কার্যালয় রয়েছে। ভবনের নিচতলার একটি ও দোতলার চারটি কক্ষে পঞ্চবীথির কার্যক্রম চলে। অন্যান্য কক্ষে একাধিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের কার্যালয় রয়েছে। গতকাল গণঅধিকার পরিষদের লোকজন ক্লাব ভবন দখল করে নিয়েছে।
তবে গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম রাশেদ দাবি করেন, ‘পঞ্চবীথি ক্লাবে জুয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম চলত। আমাদের ছেলেরা সেগুলো বন্ধ করে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে। ভবনটি গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন প্রক্রিয়া ৭০ শতাংশ এগিয়েছে। শিগগিরই আমরা অনুমতি পেয়ে যাব। তখন ভবন ব্যবহার করব।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভবন দখল
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা
কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী উদ্দেশে গোপালগঞ্জ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম মোল্লা বলেছেন, “বর্তমানে বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে। ফলে নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমরা আপনাকে স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসেবে জানতাম। আপনার নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের নেতার ওপর হামলা করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুরাহা না করলে ধরে নেব, আপনার নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে।”
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল কর্তৃক টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হমলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ইব্রাহীম মোল্লা বলেন, “আওয়ামী লীগের শাসন আমলে আপনার (বিএনপি) ইঁদুরের মতো গর্তে লুকিয়ে ছিলেন। গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করিয়েছিল। আপনারা এখন হামলা-মামলা করছেন। অর্থ বাণিজ্যের জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। আপনার এখনো ক্ষমতায় যাননি এতে এত কিছু, ক্ষমতায় গেলে কি করবেন তা মানুষের বোঝা হয়ে গেছে।”
আরো পড়ুন:
নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার খুব কাছাকাছি রয়েছি আমরা: দুদু
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘জামায়াতীকরণ’ করা হয়েছে: রিজভী
কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলি তোহা বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো আচরণ শুরু করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালী যেভাবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুট, খুন দখল বানিজ্য করেছিলো নতুন করে তারা আবার স্বরূপে ফিরে গেছে। ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখানে কোনো জুলুম-নির্যাতন চলবে না।”
মানববন্ধনে যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোনায়েম, গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুম্মান হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মাদ ইসমাইল মোল্লা বক্তব্য রাখেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর ভাই ও টুঙ্গিপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া সাগর বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, স্থানীয় জনতা সাকিবকে মারধর করেছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সাকিব এলাকায় চুরি, মাদক সেবন ও কারবারের সঙ্গে জড়িত। গতাকল সোমবার মাদক সেবন করে স্থানীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। তাই স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে তাকে চড় থাপ্পড় মারে।”
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মো. খোরশেদ আলম বলেন, “গতকাল সাকিবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কারা এ হামলা করেছে তা এখনো জানতে পারিনি। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পৌর গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাকিব শেখ গতকাল সোমবার বিকেলে বাজারে যাচ্ছিলেন। ইসলামি ব্যাংকের সামনে ৩০-৪০ জন লোক তার ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতের পরিবারের দাবি, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর ভাই গোলাম কিবরিয়া সাগর ও পৌর যুবদলের সভাপতি তাইজুল শেখের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সাকিবের ওপর হামলা চালায়।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ