প্রথম আসরে রানার্সআপ। দ্বিতীয় আসরে পয়েন্ট তালিকার ছয়ে শেষ করে সফর। এবার একেবারে তলানিতে। সাত দলের আয়োজনে এখন পর্যন্ত সপ্তম।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপিএল যাত্রা যেই উচ্চতায় শুরু হয়েছিল, ধারাবাহিকভাবে পরের দুই আসরে তা নিচে নেমেছে। বিগ বাজেটের দল গড়তে না পারায় মাঠের ক্রিকেটে শক্তিতে পারেনি দলটি। তবে একেবারেই যে খারাপ দল ছিল তা-ও নয়।

জাকির হাসান, জাকের আলী, রনি তালুকদার, তানজিম হাসান সাকিবদের মতো পরীক্ষিত ক্রিকেটাররা ছিলেন। বিদেশীদের মধ‌্যে বড় নাম না পেলেও রাকিম কর্ণওয়াল, জর্জ মুনজে, পল স্টারর্লিং, রিচ টপলিকে দলে এনেছিলেন তারা। অধিনায়ক হিসেবে আরিফুল হককে নিয়েছিল। কিন্তু পুরো দলটাই হতশ্রী পারফরম‌্যান্সে হতাশ করেছে।

কখনো তাদের ব‌্যাটিং ভালো হয়েছে তো, কখনো বোলিং।দুই বিভাগ একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পেরেছে খুব কম সময়ই। আবার ছোট-বড় ভুলে দিতে হয়েছে বড় খেসারত। ইনজুরির সঙ্গেও লড়তে হয়েছে তাদেরকে। সব মিলিয়ে বিপিএলের এবার সফর তারা নিশ্চিতভাবেই ভুলে যেতে চাইবে।

গতকাল রাজশাহীর বিপক্ষে নিজেদের নবম হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা পায় সিলেট। ম‌্যাচ হারের পর অধিনায়ক আরিফুল এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। নিজেদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো বাদে বেশি কিছু করার নেই তার, ‘‘আসলে আশা যদি না থাকলে তাহলে কঠিন হয়ে যায় পারফর্ম করা। সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। যে ভালো খেলে সেটা ব‌্যাটসম‌্যান হোক বা বোলার তারা যদি ভালো খেলে তাহলে ভালো লাগে। দিন শেষে ভালো করা গেলে আসলে ভালোই লাগবে। কিন্তু আমরা এবার কেউই ভালো করিনি। পুরো দলটা খারাপ করেছি।’’  

‘‘পুরো টুর্নামেন্ট খুবই বাজে গেছে। খুবই বাজে গেছে।এরকম অভিজ্ঞতা আগে কখনো হয়নি। ম‌্যাচের দিন…আজকেও সকালে আমাদের ওপেনার ব‌্যাটসম‌্যান রনি ঘুমের থেকে উঠে বলছে ‘‘আমার ঘাড়ে লাগছে’’। ওকেও ধরতে হবে ইনজুরড। এই দলে দেখা যাবে শেষ ম‌্যাচেও হয়তো বা কেউ না কেউ বলছে ‘আমি খেলতে পারব না।’ অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ।’’ – বলতে থাকেন আরিফুল।

দলের যা অবস্থা তাতে শেষ ম‌্যাচটা ‘বারডেন’ হয়ে গেছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠল। আরিফুল অবশ‌্য বিষয়টিকে ওভাবে দেখছেন না, ‘‘আসলে আরেকটা ম‌্যাচ বারডেন না। আমরা যদি শেষ ম‌্যাচটাও জিতে যেতে পারি তারপরও নিজের কাছে শান্তি আসবে যে নাহ একটা জিতে শেষ করেছি।’’

এর আগেও বিদেশী ক্রিকেটারদের থেকে প্রত‌্যাশিত পারফরম‌্যান্স না পাওয়ার আক্ষেপ করেছিলেন আরিফুল। গতকালও সেই কথাই শোনালেন,‘‘আমরা যদি রাকিমের থেকে ফুল সার্ভিসটা পেতাম। মানজি যদি পুরো আসরটা ভালো খেলত। পল স্টারর্লিং থেকে সার্ভিসটা পেতাম…ওরা কিন্তু ফ্রাঞ্চাইজি আসরগুলোতে বড় নাম। কিন্তু তারা কেউই ভালো করতে পারেনি।’’

৩০ জানুয়ারি সিলেটের শেষ ম‌্যাচ চিটাগং কিংসের বিপক্ষে। ম‌্যাচটা সিলেটের জন‌্য গুরুত্বহীন হলেও চিটাগং কিংসের প্লে অফ নিশ্চিতের জন‌্য অনেক গুরুত্বের।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর ফ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চেরির দুটি গাড়ি ও ইএলএফ লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে

চেরির নতুন এসইউভি গাড়ি ‘টিগো ৮ প্রো’ এবং ‘টিগো ক্রস’ বাংলাদেশের বাজারে ছাড়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফরাসি ব্র্যান্ড ইএলএফের লুব্রিকেন্টস বাজারে ছাড়া হয়। বাংলাদেশে ইএলএফ লুব্রিকেন্টসে অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এশিয়ান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এবং চেরি বাংলাদেশের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এশিয়ান মোটরস্পেক্স লিমিটেড, আজ র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও চেরি বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও ইএলএফ লুব্রিকেন্টসের মুখ্য অপিনিয়ন লিডার তামিম ইকবাল খান উপস্থিত ছিলেন। তামিম ইকবাল বলেন, ‘টিগো ৮ প্রো প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বেশ উন্নত এবং অত্যন্ত আরামদায়ক, যা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি ইএলএফ লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে আসায় আমি আনন্দিত। কারণ, গাড়ি ও মোটরবাইকের স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

বিশ্বব্যাপী চতুর্থ স্থানে অবস্থানকারী ইএলএফ হাই পারফরম্যান্স প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং মোটরস্পোর্ট হেরিটেজের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফর্মুলা ওয়ান-এ ১৩৬ বারেরও বেশি জয়লাভ এবং সিএফ মোটরস, অ্যালপাইন রেনল্ট ও রয়্যাল এনফিল্ডের মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের পর ইএলএফ এখন বাংলাদেশের মোটরসাইকেল ও প্যাসেঞ্জার গাড়ির জন্য লুব্রিকেন্ট পারফরম্যান্সের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনে প্রস্তুত।

ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, ইএলএফ শুধু একটি পণ্য নয়, বরং একটি ঐতিহ্যের নাম। বাংলাদেশের উষ্ণ আবহাওয়া এবং যানজটে ভরা রাস্তাগুলোর কথা মাথায় রেখে ইএলএফ যানবাহনের দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। এটি গাড়ি, মোটরবাইক, বাস, ট্রাক কিংবা সিএনজি—সব ধরনের যানবাহনের সুরক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

অনুষ্ঠানে এশিয়ান হোল্ডিংসের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, ‘এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে চেরির কেবল দুটি নতুন মডেল নয়, জীবনধারার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছি।’

টিগো ৮ প্রো

চেরির ‘টিগো ৮ প্রো ১.৬টি’ ফ্ল্যাগশিপ মডেলে আছে শক্তিশালী ১৯৫ বিএইচপি টার্বোচার্জড পেট্রল ইঞ্জিন ও প্রিমিয়াম ইন্টেরিওর, যা সবার নজর কেড়েছে। এতে আছে ভেগান চামড়ার আসন, প্যানোরামিক সানরুফ, ৯টি এয়ারব্যাগ, ৩৬০ ডিগ্রি সেফটি সিস্টেম ও জেসচার কন্ট্রোলড টেলগেট, ডুয়েল ১২.৩ ইঞ্চি কার্ভড ডিসপ্লে, ওয়্যারলেস অ্যাপল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড অটো, প্রিমিয়াম সনি সাউন্ড সিস্টেমের মতো উন্নত বিভিন্ন সুবিধা। পার্ল হোয়াইট ও অরোরা গ্রিন রঙে এসইউভি মডেলটি পাওয়া যাবে। এ গাড়িটির দাম ৫৩ লাখ টাকা।

টিগো ক্রস

টিগো ক্রস একটি সুবিধাসমৃদ্ধ এসইউভি। এতে আছে ১৪৫ বিএইচপি ক্ষমতাসম্পন্ন ১.৫ লিটার টার্বোচার্জড ইঞ্জিন, স্টাইলিশ ব্ল্যাক ড্যাশবোর্ড, ডুয়েল-জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল, ১০.২৫ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন-এর পাশাপাশি অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন ও ৩৬০ ক্যামেরার মতো উন্নত সেফটি ফিচারস। এ গাড়ির দাম ৩৬ লাখ টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআইয়ের চমক নিয়ে বাজারে এল নতুন ফোন
  • বিশ্বকাপে যাওয়ার বিশ্বাস ছিল জ্যোতির
  • বড় টার্গেট দেওয়ার আশা মিরাজদের
  • চেরির দুটি গাড়ি ও ইএলএফ লুব্রিকেন্টস বাংলাদেশে
  • ইতিবাচক মানসিকতায় সর্বদা ফ্রন্ট ফুটে থাকতে চাই: সিমন্স
  • নাসুমকে থাপ্পড় মারেননি হাথুরুসিংহে—দাবি হেরাথ ও পোথাসের
  • আইসিসি ঘোষিত সেরা একাদশে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
  • নারী বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান