যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটিতে ‘অনাকাঙ্খিত’ বলে উল্লেখ করেছে।

রাজ্যটির পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন- পল সোয়ার্নার (৩৫), তার স্ত্রী কারেন সোয়ার্নার (৩২) এবং দুই সন্তান ইভেলিন (৫) ও কনর (১)। মৃত্যুর খবরটি প্রথমে পুলিশকে জানান পল সোয়ার্নারের শ্বশুর। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পল সোয়ার্নার তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে প্রথমে গুলি করে হত্যা করেছেন। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেন।

তদন্তকারীরা আরও বলেছেন, একই কক্ষ থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর আগমুহূর্তে তাদের মধ্যে তেমন কোনো মারামারিও হয়নি।

পেনসিলভানিয়ার পুলিশ প্রধান স্টিভ লিমানি বলেন, ঘটনাটি অভাবনীয় ও অনাকাঙ্খিত।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। আমি জানি না পল কেন এমনটা করলেন। এ ঘটনার নেপথ্যের কারণ এখনও উদঘাটন করতে পারিনি আমরা। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। কিন্তু কোনো সূত্র খুঁজে পাইনি।

লিমানি বলেন, ওই দম্পতির কোনো ফৌজদারি অপরাধের ঘটনা বা পারিবারিক কলহও নেই। তাদের সংসার ভালোই চলছিল। আর দশটা পরিবারের মতোই সুখী পরিবার ছিল তাদের। শিশুদের খেলার জন্য পুতুলও সাজানো ছিল ঘরভর্তি।

ওই দম্পতির প্রতিবেশী ডিক শ্যালেও ঘটনাটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, আমি তাদের পরিবারের সদস্য না হতে পারি কিন্তু পরিবারের সদস্যের মতোই ওতপ্রোতভাবে মিশে গিয়েছিলাম। তিনি শোকভরা গলায় বলেন, গত ক্রিসমাসেও তাদের দুই সন্তানকে উপহার দিয়েছি। এই মর্মান্তিক ঘটনা কখনও ভুলব না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ