গাজীপুরে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিতর্ককে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়ারি গাজীপুরের ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে একত্র করে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় বিতর্ক কর্মশালা, প্রতীতি বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংগঠনিক আলোচনা।
সুহৃদ সমাবেশের সার্বিক সহযোগিতায় ও প্রতীতি বিতর্ক সংঘের আয়োজনে কর্মশালায় সনাতনী বিতর্ক, সংসদীয় বিতর্ক ও বারোয়ারি বিতর্ক নিয়ে আলোকপাত করেন বিতর্ক প্রশিক্ষকরা। সনাতনী বিতর্কের প্রশিক্ষণ দেন– স্টামফোর্ড ডিবেট ফোরামের সাবেক সভাপতি মো.
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান, সমকাল পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন– গাজীপুর পুলিশ লাইন্স স্কুলের সহকারী শিক্ষক দিলরুবা আমজাদ, সহকারী শিক্ষক দীপা রানী সাহা, ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মো. আবু তাহের ও প্রভাষক কৃষিবিদ মফিজুল ইসলাম নাফিজ।
বিতর্ক নিয়ে বিভিন্ন সেশনের পাশাপাশি অতিথিরা বিতর্কের প্রয়োজনীয়তা ও এর গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত করেন। কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষক ও অতিথিদের সম্মাননা দেওয়া হয়। পরে সাংগঠনিক আলোচনায় অংশ নেন টঙ্গীর সুহৃদরা। সভায় এ বছরের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়; যা বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সুহৃদরা।
নতুন কমিটি গঠন
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের সেরা সুহৃদ নির্বাচিত হয় গাজীপুর পুলিশ লাইন্স স্কুলের সুমাইয়া তালুকদার। তাকে পুরস্কার দেন প্রতীতি বিতর্ক সংঘের
উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মীর পারভেজ। এরপর ঘোষণা করা হয় সমকাল সুহৃদ সমাবেশ টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখার কার্যনির্বাহী কমিটি। কমিটিতে সভাপতি মনোনীত হয় সুমাইয়া আক্তার, সহসভাপতি পদে জান্নাত মুহসিনা ও জুলেখা আক্তার নওশীন, সাধারণ সম্পাদক পদে তুলি ইয়াসমিন দিনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মিথিলা আক্তার ও জান্নাত।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলো– সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রহমান হৃদয়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অজয় বৈদ্য, দপ্তর সম্পাদক রেজা মৌসুমি, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোছা. নাদিয়া আক্তার প্রমি, অর্থ সম্পাদক বাবলি আক্তার, সহ-অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া মম, প্রচার সম্পাদক মারজানা আক্তার ইলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. ইলিয়াছ হোসেন, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক সিয়াম সরদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী দীপা, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুসরাত জাহান ঊর্মি, সাহিত্য সম্পাদক কামরুন্নাহার কেয়া, সহ-সাহিত্য সম্পাদক খাদিজা আক্তার ইলা, নারীবিষয়ক সম্পাদক কামরুন নাহার সাথী, সহ-নারীবিষয়ক সম্পাদক নুসরাত জাহান সিফা, পাঠচক্র সম্পাদক তিশা, সহ-পাঠচক্র সম্পাদক ইয়াসিন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোছা. সামিয়া আক্তার, ক্রীড়া সম্পাদক দুর্জয়, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক কান্তা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইসরাত, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আরদিনা আনতুম অন্তি, সহ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক নুর। কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলো– পরাগ, আব্দুর রহিম, আবু সাঈদ, নুসরাত জাহান ঊর্মি v
আহ্বায়ক সুহৃদ সমাবেশ, টঙ্গী
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’