Samakal:
2025-04-02@22:08:01 GMT

শীতবস্ত্র পেল ছিন্নমূল মানুষ

Published: 27th, January 2025 GMT

শীতবস্ত্র পেল ছিন্নমূল মানুষ

শীত মানেই কুয়াশা মোড়ানো ভোরে চুলার পাশে বসে পিঠা খাওয়া। ঝরাপাতা জড়ো করে জ্বালিয়ে আগুন পোহানো। গল্পের আসরে বসে ধূমায়িত চা-কফির উষ্ণ স্বাদ। দীর্ঘ রাতে লেপ-কম্বলের ওম লাভের আনন্দ। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তাদের জন্য শীত মানে দুঃসংবাদ। শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এক টুকরো শীতের কাপড় তাদের জন্য যেন শত আরাধনার ধন। এমন পরিস্থিতিতে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এডাস্ট) সুহৃদ সমাবেশ সম্প্রতি হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতের কম্বল তুলে দিয়ে হাসি ফুটিয়েছে।
সুহৃদদের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মো.

কামরুজ্জামান লিটু, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল কাইউম সরদারসহ সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এডাস্ট শাখার উপদেষ্টামণ্ডলী, সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। এ সময় দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন মো. কামরুজ্জামান লিটু। তিনি উপস্থিত দুস্থ পরিবারের উদ্দেশে বলেন, আর্তমানবতার সেবায় দরিদ্রদের পাশে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণে এবং সবার মুখে হাসি ফোটাতে এডাস্ট পরিবার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুহৃদ উপদেষ্টা এবং প্রধান সমন্বয়কারী সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন আকতার জানান, অসহায় ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবারই নৈতিক দায়িত্ব। অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসার মাধ্যমেই রচিত হবে মানবিক সেতুবন্ধ। সামান্য সহযোগিতা তাদের জীবনে এনে দিতে পারে এক টুকরো সুখ। কনকনে শীতে ঠকঠক করে কাঁপা মানুষের গায়ে শীতবস্ত্র জড়িয়ে মুখে হাসি ফোটানোর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে! এর মাধ্যমে প্রকাশ পায় মানুষের প্রতি আমাদের মমত্ব ও ভালোবাসা। আন্তরিকতার সঙ্গে অল্প দানও অনেক মূল্যবান। শীতার্ত মানুষগুলো উষ্ণ হয়ে উঠুক আমাদের ভালোবাসায়‌– এই প্রত্যাশায় সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এগিয়ে যাবে।
উপদেষ্টা সুহৃদ সমাবেশ, এডাস্ট

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ