Samakal:
2025-03-03@20:04:50 GMT

শীতবস্ত্র পেল ছিন্নমূল মানুষ

Published: 27th, January 2025 GMT

শীতবস্ত্র পেল ছিন্নমূল মানুষ

শীত মানেই কুয়াশা মোড়ানো ভোরে চুলার পাশে বসে পিঠা খাওয়া। ঝরাপাতা জড়ো করে জ্বালিয়ে আগুন পোহানো। গল্পের আসরে বসে ধূমায়িত চা-কফির উষ্ণ স্বাদ। দীর্ঘ রাতে লেপ-কম্বলের ওম লাভের আনন্দ। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তাদের জন্য শীত মানে দুঃসংবাদ। শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এক টুকরো শীতের কাপড় তাদের জন্য যেন শত আরাধনার ধন। এমন পরিস্থিতিতে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এডাস্ট) সুহৃদ সমাবেশ সম্প্রতি হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতের কম্বল তুলে দিয়ে হাসি ফুটিয়েছে।
সুহৃদদের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মো.

কামরুজ্জামান লিটু, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল কাইউম সরদারসহ সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এডাস্ট শাখার উপদেষ্টামণ্ডলী, সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। এ সময় দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন মো. কামরুজ্জামান লিটু। তিনি উপস্থিত দুস্থ পরিবারের উদ্দেশে বলেন, আর্তমানবতার সেবায় দরিদ্রদের পাশে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণে এবং সবার মুখে হাসি ফোটাতে এডাস্ট পরিবার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুহৃদ উপদেষ্টা এবং প্রধান সমন্বয়কারী সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন আকতার জানান, অসহায় ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবারই নৈতিক দায়িত্ব। অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসার মাধ্যমেই রচিত হবে মানবিক সেতুবন্ধ। সামান্য সহযোগিতা তাদের জীবনে এনে দিতে পারে এক টুকরো সুখ। কনকনে শীতে ঠকঠক করে কাঁপা মানুষের গায়ে শীতবস্ত্র জড়িয়ে মুখে হাসি ফোটানোর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে! এর মাধ্যমে প্রকাশ পায় মানুষের প্রতি আমাদের মমত্ব ও ভালোবাসা। আন্তরিকতার সঙ্গে অল্প দানও অনেক মূল্যবান। শীতার্ত মানুষগুলো উষ্ণ হয়ে উঠুক আমাদের ভালোবাসায়‌– এই প্রত্যাশায় সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এগিয়ে যাবে।
উপদেষ্টা সুহৃদ সমাবেশ, এডাস্ট

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ