এটাকেই সম্ভবত বলে মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়! বলছিলাম হোবার্ট হ্যারিকেন্সের অলরাউন্ডার মিচেল ওয়েনের কথা। ২০১৫ সালে তিনি ছিলেন হোবার্টের কড়া ভক্ত। ১০ বছর পর তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই হোবার্ট জিতলো বিগ ব্যাশ লিগে তাদের প্রথম শিরোপা।

তিনি শিরোপা জয়ের স্বপ্নের দৌড়ের ব্যাটনটা ঠিকভাবেই বহন করে এনেছেন। কেবল বহন করেই আনেননি, সেটাকে পৌঁছে দিয়েছেন কাঙ্খিত গন্তব্যে। প্রথম শিরোপা জয়ের শোকেস পর্যন্ত।

আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি, ২০২৫) অনুষ্ঠিত ফাইনালে সিডনি থান্ডার আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৮২ রান করে। জবাবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ওয়েনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে মাত্র ১৪.

১ ওভারেই জিতে যায় হোবার্ট। ওয়েন মাত্র ১৬ বলে ৫টি চার ও ৫ ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৩৯ বলে। যেখানে তিনি ৬টি চারের পাশাপাশি ১০টি ছক্কা হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৬টি চার ও ১১ ছক্কায় ১০৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। তখন হোবার্টের রান ছিল ১০.১ ওভারে ১৩৯। অর্থাৎ ওয়েন দলের জয়ের ভিত দারুণভাবে গড়ে দিয়ে যান।তাইতো ম্যাচ শেষে ওয়েন বলেছেন, ‘‘সত্যিই অবিশ্বাস্য লাগছে। এখানে আসতে পারা, আমার নামের স্লোগান শুনতে পাওয়া, অবিশ্বাস্য লাগছে। তবে খুবই দারুণ ব্যাপারটা। আমি খুবই কৃতজ্ঞ এগুলোর জন্য।’’

আরো পড়ুন:

১৩ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে মাঠে নামছেন কোহলি

দুর্নামের মাঝেই প্লে’অফের দৌড়ে দুর্বার রাজশাহী

‘‘আমি আসলে চেয়েছি এই শিরোপাটা জিততে। আউট হওয়ায় হতাশ হয়েছি। আমি চেয়েছিলাম উইনিং রান নিতে। তাহলে আমাকে ডাগআউটে টেনশন নিয়ে, নার্ভাস হয়ে কিছু সময় বসে থাকতে হতো না। তবে এটা আমার জন্য সত্যিই খুবই বিশেষ একটা বিষয়। কারণ, এটা ছিল আমার শৈশবের স্বপ্ন। সেটা পূরণ হওয়ায় সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ