অস্ট্রেলিয়া সফরের পর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিসহ ভারতের অন্যান্য ক্রিকেটাররা। অনেকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তাদেরকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে। সে অনুযায়ী রোহিত, ঋষভ পন্ত, শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়ালরা নেমে পড়েছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে নিজ নিজ প্রদেশের হয়ে খেলতে। তবে দিল্লির হয়ে পন্ত খেললেও কোহলির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে জানা গেল, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া রঞ্জি ট্রফিতে খেলবেন কোহলি। তার আগে মঙ্গলবার তিনি যোগ দিবেন দলের সঙ্গে।

এছাড়া জানা গেছে, আগের রাউন্ডে তিনি হাঁটুর ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি। গেল কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছিল কোহলি ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সঙ্গে কাজ করছেন। এবার মাঠে নামার পালা তার। সবশেষ ২০১২ সালে কোহলি খেলেছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে। এরপর আর খেলা হয়নি তার। এবার বাজে ফর্ম ও ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) গাইডলাইনের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে নামতে যাচ্ছেন তিনি।

এদিকে কর্ণাটককে পরের রাউন্ড অবশ্যই জিততে হবে। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাদের দলে রাখা হয়েছে লোকেশ রাহুলকে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা হরিয়ানার মুখোমুখি হবে তারা। রাহুল ছাড়াও কর্ণাটকের দলে আছেন দেবদূত পাড়িক্কল ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। রাহুল সবশেষ ২০১৯-২০২০ মৌসুমে খেলেছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে।

আরো পড়ুন:

দুর্নামের মাঝেই প্লে’অফের দৌড়ে দুর্বার রাজশাহী

প্লে’অফের দৌড়ে রাজশাহীর সামনে সুবর্ণ সুযোগ

এদিকে রবীন্দ্র জাদেজা খেলবেন সৌরাষ্ট্রের হয়ে। পরের রাউন্ডে সৌরাষ্ট্র মুখোমুখি হবে আসামের। আগের রাউন্ডে জাদেজা ১০ উইকেট নিয়ে দিল্লির বিপক্ষে দলকে জিতিয়েছিলেন। মোহাম্মদ সিরাজ ফিরবেন হায়দরাবাদের হয়ে। তারা খেলবে বিধর্বের বিপক্ষে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ