ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একাডেমিক পরিবেশ বিঘ্ন এবং কোনভাবেই যেন সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য তারা এ আহ্বান জানিয়েছে তারা। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত উভয় প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কয়েকজন পথচারীও আহত হয়েছেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সম্প্রতি ছোটখাট ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সংঘাত বাড়তে দেখা যাচ্ছে। প্রায়ই আকস্মিক সৃষ্টি হওয়া এসব সংঘাতের ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানুষ। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থাপনার ঘাটতির বিষয়টিও আমরা লক্ষ্য করেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ রাকিবসহ শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ নির্মম হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের নির্বিচার হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারকে আরো বেশি সক্রিয় ও উদ্যোগী হতে হবে।

সংগঠনে পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একাডেমিক পরিবেশ বিঘ্ন না ঘটার পাশাপাশি কোনোভাবেই যেন সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের প্রতি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে যাওয়ারও আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ ব

এছাড়াও পড়ুন:

সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।

এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ