কুষ্টিয়ার মিরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিবি করিমন্নেছা। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার প্রামানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার জুলেখা খাতুন, মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী।

আরো উপস্থিত ছিলেন - মিরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো.

আসাদুজ্জামান, সিনিয়র শিক্ষক মো. আরিফুল ইসলাম, ফারজানা জামান, সহকারী শিক্ষক মো. বিলাল হোসেন, মো. শফিউল ইসলাম, জয়শ্রী পাল, মো. ওমর ফারুক, মো. আসাদুজ্জামান রনি, মো. কামরুজ্জামান, শেখ সেলিনা আক্তার, ইসমা জাহান, মো. হাসান প্রামানিক, জাকিয়া সুলতানা, বিদ্যালয়ের গানের শিক্ষক আসাদুজ্জামান মিঠু, তাল যন্ত্র সহযোগী কারিবুল ইসলাম কাজল, বিদ্যালয়ে ষ্টাফ কবির হোসেন, ইসরাফিল হোসেন, সুবর্না পারভীন, সামেলা খাতুন, শাহারা খাতুন।

আরো পড়ুন:

সব স্কুলে ভর্তি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ
১৮ মাসে শেষ হওয়ার কথা, হয়নি ৫ বছরেও

অতিথিরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা দেশ ও জাতীর ভবিষ্যৎ। খেলাধুলা মানুষের মন মানসিকতা বিকশিত করে। তোমরা ক্রীড়া এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো অবদান রেখে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। 

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ