টোল নিতে দেরি, টোলকর্মীর কলার ধরে শাসালেন বিএনপি নেতা
Published: 27th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজায় টোল নিতে দেরি হওয়ায় কর্মরত এক টোলকর্মীকে (কম্পিউটার অপারেটর) লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে থাকলেও রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
অভিযুক্ত ওই বিএনপি নেতার নাম নাজমুল মোস্তফা আমিন। তিনি লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। এ ছাড়া তিনি জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক বলেও জানা গেছে।
ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেনসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলায় যাচ্ছিলেন। গাড়িগুলো ধীরে ধীরে টোল প্লাজা অতিক্রম করছিল। টোল নিতে দেরি হওয়ায় নাজমুল মোস্তফা গাড়ি থেকে নেমে টোল প্লাজার বুথে প্রবেশ করেন এবং এক টোলকর্মীর ওপর ক্ষুব্ধ হন।
সেসময় ওই টোলকর্মীকে শাসানোর পাশাপাশি তার টি-শার্টের কলার ধরে লাঞ্ছিত করেন নাজমুল মোস্তফা। টোল প্লাজার বুথে থাকা কম্পিউটারের মনিটরে আঘাতও করেন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় টোল বক্সে কর্তব্যরত অন্যান্য কর্মীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শাহ আমানত সেতুর ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেল-ভ্যান জেভির প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন ঘোষ বলেন, এখানে গুরুতর কোনও ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার দুপুরে গাড়ির চাপ বেশি ছিল। এসময় এক ব্যক্তি (বিএনপির নেতা) টোলের বুথে প্রবেশ করে টোলকর্মীকে বকাঝকা করেন। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি। শুনেছি এসময় গাড়িবহরে সিটি মেয়র অপেক্ষামান ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাজমুল মোস্তফা আমিনের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত ট লকর ম ব এনপ র কর ম র
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় সড়কে গাছ ফেলে ৪০ গাড়িতে ডাকাতি
পাবনার সাঁথিয়ায় মধ্যরাতে সড়কে গাছ ফেলে বাস-ট্রাকসহ অন্তত ৪০টি গাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে পাবনা-সাঁথিয়া সড়কের ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে ঘটে এ ঘটনা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান।
এ বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাতরা। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি আটকে পড়ে। এসময় ৪০ থেকে ৫০ জন হাসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে ডাকাতি চালায়। গাড়ির গেট খুলতে দেরি করায় কিছু গাড়ি ভাঙচুরও করে। এসময় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ তাণ্ডব।
ডাকাতির কবলে পড়া আব্দুস সালাম নামে এক ইসলামী বক্তা ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যে বলেন, কিছুক্ষণ আগে এই সড়কে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করেছে। হুট করে আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। বারবার গাড়িতে আঘাতের পর আমরা ড্রাইভারকে গেট খুলে দিতে বললে ডাকাতরা ঢুকে ড্রাইভারের গলা ও পেটে চাকু ধরে। একইভাবে অন্যদেরও জিম্মি করে সব লুটে নিয়ে যায়। আমরা বলেছি, ভাই যা আছে সব নেন, কিন্তু কাউকে আঘাত কইরেন না। আমাদের গাড়িতে কাউকে আঘাত করেনি। অনুরোধ করায় আমার দুটি মোবাইল ফেরত দিয়ে যায়।
তিনি বলেন, একটি মাইক্রোতে করে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী। ওই গাড়িতে আক্রমণ করে কয়েকজনকে মারধর করে সব লুটে নিয়ে গেছে। একইভাবে সব গাড়িতে পর্যায়ক্রমে ডাকাতি চালায়। গাড়ি ভাঙচুর ও অনেককেই মারধর করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো বিস্তারিত জানি না। তবে ওই রাস্তাটি খুব বেশি ব্যস্ত না হলেও বেড়া-বাঘাবাড়ি হয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেশকিছু গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যায়। এটি ডাকাতরা জেনেই গাছ ফেলে ডাকাতি করেছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলতে না পারলেও কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনজে