ঢাকার সাভারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) সাংবাদিক সমিতির (নিসাস) আয়োজনে ১৪তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া নিসাসের নতুন কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) উপজেলার নয়ারহাট এলাকায় ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই ওরিয়েন্টেশন হয়। এতে সাংবাদিকতায় আগ্রহী শতাধিক নবীন শিক্ষার্থী যোগ দেন।

নিটার পরিচালক অধ্যাপক ড.

আশেকুল আলম রানা, লেকচারার মো. রেদওয়ানুল ইসলাম, প্রসেনজিৎ সেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

সাংবাদিক জোবদুল হক মারা গেছেন

সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা দস্তগীর বরখাস্ত

অনুষ্ঠানে নিসাস সভাপতি ফাহিম আলমের সভাপতিত্বে ও শামীমাতুস সাবাহ্ মুগ্ধর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডির জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক নাজমুল হোসেন, একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম সাব্বির, গণবিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সানজিদা জান্নাত, নিসাস সাধারণ সম্পাদক মো. রুবায়েত রশীদ, দপ্তর সম্পাদক লাবিবা সালওয়া ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আশেকুল আলম রানা বলেন, “ক্যাম্পাসের প্রতিটি অংশীজনের বক্তব্য তুলে ধরতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে সাংবাদিকতায় অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যতা যাচাই নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিয়ে তথ্যবহুল খবর প্রচার করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতায় আগ্রহের কথা জানিয়ে বক্তব্য দেন। ফারদিন আহমেদ সাজিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “বাবার জোরাজুরিতে খবর দেখতাম, পড়তাম। নিজেরও সাংবাদিকতা নিয়ে আগ্রহ ছিল। ক্যাম্পাসে আসার পর নিসাস আমাদের আহ্বান জানায়। আমি নিজে সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসকে তুলে ধরতে চাই।”

এছাড়া মাহমুদ আল আবছার শায়ের নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “সাংবাদিকরা যেভাবে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে, তথ্য রাখে ও প্রচার করে, সেটি আমাকে খুবই আলোড়িত করে। একইভাবে আমিও তথ্য প্রচার করতে সাংবাদিকতায় আগ্রহ প্রকাশ করি। সেজন্যই নিসাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।”

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষে নিসাসের চতুর্থ কার্যকরি পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন সদ্য সাবেক সভাপতি ফাহিম আলম। নতুন কমিটির সভাপতি হয়েছেন মো. রুবায়েত রশীদ, সহ-সভাপতি নবনীতা ঘোষ স্বপ্নীল, সাধারণ সম্পাদক লাবিবা সালওয়া ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন দাস মিঠু, দপ্তর সম্পাদক সিফার হায়দার শিবিব, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মোবাশ্বির রফিক, সহ-দপ্তর সম্পাদক উম্মে জান্নাত জেসি, সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক সাব্রিন ইমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরাফাত কাদির মাহিন, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শামীমাতুস সাবাহ্ মুগ্ধ, কোষাধ্যক্ষ নাফিস ইরাম।

এছাড়া কার্যকরি সদস্য হয়েছেন এম এম মোহতাসীম শাহরিয়ার, অপরাজিতা অর্পা, লতিফুর রহমান লিহাদ, আবিদা সুলতানা এশা এবং সাংগঠনিক সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সামিহা জান্নাত, অঙ্কিতা পোদ্দার, আফরোজা আলম তানি, তাসমিয়া নওশিন দীপিতা।

ঢাকা/সাব্বির/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ কত য় ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বই পায়নি ৪৬ হাজার শিক্ষার্থী

শিক্ষাবর্ষের ১ মাস ২৬ দিন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু পার্বতীপুরের মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই এখনও হাতে পায়নি। ফলে বেশকিছু বিষয়ে এখনও পড়ালেখা শুরু করতে পারেনি তারা। এতে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নে জটিলতা সৃষ্টির শঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। পার্বতীপুর থেকে জানা গেছে, উপজেলার মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ৪৬ হাজার ছাত্রছাত্রী এখনও হাতে পায়নি সব বিষয়ের বই। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শুধু ৮ম এবং মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির পুরো সেট বই বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার ১১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খুলবে ৯ এপ্রিল। এর দুই মাস পরেই ২৪ জুন শিক্ষার্থীদের বসতে হবে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার টেবিলে। পরীক্ষার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন বন্ধ বাদ দিয়ে মাত্র ৩৬ দিন ক্লাস করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। এতে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় হতাশ তারা। 
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পার্বতীপুরে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১১৩টি। মাধ্যমিক স্তরের ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শুধু বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই সরবরাহ করা হয়েছে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, উচ্চতর গণিত, বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, কৃষিশিক্ষা বই পায়নি। 
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, বাংলা দ্বিতীপত্র, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও শারীরিক শিক্ষা বই পায়নি। মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও ৭ম ও নবম শ্রেণির অধিকাংশ শিক্ষার্থী বই পায়নি।
অভিভাবক আবু দাউদ জানান, তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে সব বিষয়ে এখনও বই পায়নি। এদিকে স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। কবে বই দেওয়া হবে, কর্তৃপক্ষ বলতে পারছে না। অনেকেই পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়াচ্ছে। তবে তা ব্যয়বহুল; শিক্ষার্থীরাও এভাবে পড়তে অভ্যস্ত না। সময়মতো বই না পাওয়ায় শেষ সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর 
চাপ বেড়ে যাবে।
পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মকলেছুর রহমান বলেন, এখনও বেশির ভাগ বই হাতে পাওয়া যায়নি। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা নেট থেকে ডাউনলোড করে ক্লাসে পড়াচ্ছে। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বই না থাকায় তাদের ক্লাসে আগ্রহ কম। 
একাডেমিক সুপারভাইজার বিভাষ চন্দ্র বর্মন বলেন, এখনও অনেক বই আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যেটুকু এসেছে তা চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় বিতরণ করা যাচ্ছে না। অবশিষ্ট বই পেলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরবরাহ করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ