বাংলাদেশের প্রায় ১৮ হাজার কর্মীর গত বছর ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। নানা জটিলতায় তাদের যাওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৯৬৪ জন প্রথম ধাপে দেশটিতে যেতে পারবেন। আর বাদ পড়া বাকি ১০ হাজার কর্মীর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

মালয়েশিয়া সরকার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনকে এসব কথা জানিয়েছে।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

আরো পড়ুন:

মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় ৬৪ বাংলাদেশিসহ ১০৫ অভিবাসী আটক

মুখপাত্র বলেন, “১৮ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ার বিষয়টি গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো.

শামীম আহসান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন ইসমাইলকে জানান। সাইফুদ্দিন পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের কর্মীদের নেওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করতে হাইকমিশন ও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন। এই কমিটি গত এক মাসে দুটি বৈঠকে বসে। মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর কমিটি ১৮ হাজার কর্মীর মধ্যে ৭ হাজার ৯৬৪ জনকে প্রথম ধাপে দেশটিতে যাওয়ার জন্য বাছাই করে।”

কবে ও কীভাবে এই ৭ হাজার ৯৬৪ জন কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারবেন-এই প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, “এটা কারিগরি কমিটি ঠিক করছে।”

কীভাবে এই ৭ হাজার ৯৬৪ জন কর্মীকে বাছাই করা হয়েছে- এমন প্রশ্নে একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক জানান, গত বছর মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে যেসব কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়ার বৈধ ভিসা ছিল, তাদের এ তালিকায় নেওয়া হয়েছে। তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে যতটা সম্ভব কম খরচে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্টকে যুক্ত করা হবে না।

১৮ হাজার কর্মীর মধ্যে বাদ পড়া আরও ১০ হাজার কর্মীর কী হবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কূটনীতিক বলেন, “৭ হাজার ৯৬৪ জনের যাওয়া চূড়ান্ত হয়ে গেলে বাকিদের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।”

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ম র ম

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ