আংশিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে অবশেষে আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্দোলনরত বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) শ্রমিক কর্মচারীরা। আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিবিসির প্রশাসক ও বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়সারের সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা রুদ্ধদার বৈঠক করেন। বৈঠকে শ্রমিকদের ৬ দফা দাবির অংশ বিশেষ মেনে নেওয়ায় আন্দোলন থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন বিসিসির শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে সমস্যা সমাধানে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়সার। দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গত ১ জানুয়ারি বিনা নোটিশে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৬০ জন কর্মীকে ছাটাইয়ের প্রতিবাদসহ ৬ দফা দাবি নিয়ে প্রায় ১ মাস ধরে আন্দোলন করছিলেন তারা। মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধসহ নানান কর্মসূচি পালন করেন। আজ দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের বৈঠক হয়।

আরো পড়ুন:

সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে চাকরি, ৩৬ ক্যাটাগরিতে নেবে ১৯১ জন

চাকরি দিচ্ছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

বৈঠকে অংশ নেওয়া শ্রমিক নেতারা জানান, দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শ্রমিকদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বৈঠকে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা ১৬০ জন শ্রমিককে পুনর্বহালের দাবি জানালে শ্রম আইনের নিয়মানুসারে তাদের অযৌক্তিক দাবি বিসিসি কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখ্যান করে। তবে চাকরিচ্যুত ওই ১৬০ জনের পরিবারে যদি কেউ চাকরিযোগ্য সদস্য থাকে, তাদের মধ্যে ৩০ ভাগ সদস্যকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুত ১৬০ জন শ্রমিক পরিবারের মধ্যে ৪৮ জন সদস্য চাকরি পাবেন। এছাড়া যে সকল সদস্য মারা গেছে, সিটি কর্পোরেশন থেকে তাদের পরিবারকে এককালীন অনুদান বা সহায়তা দেওয়া হয়নি; বিভাগীয় কমিশনার নিজ উদ্যোগে তাদের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং যারা এখনো জীবিত রয়েছেন, তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিন্ধান্তের কথা জানান। একইসঙ্গে প্রত্যেক শ্রমিক মাসে শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে ২০০ টাকা জমা দিলে তার বিপরীতে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও ২০০ টাকা দেওয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য দাবির বিষয়গুলো আইনের মধ্যে থেকে পূরণের আশ্বাস দেওয়ার পর শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানান।

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম জমদ্দার বলেন, বিসিসির প্রশাসকের সময়োপযোগী উদ্যোগের কারণে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কায়সার বলেন, ন্যায়সঙ্গত দাবির বিষয় বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চারজন প্রতিনিধি এবং কর্মরত শ্রমিক সংগঠনের তিনজন প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ কর পর ব র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’

টাইমস স্কয়ারের পিচঢালা পথ। ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোতে প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন। ব্যস্ত এ পথে চুম্বনরত অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমার তরুণ অভিনয়শিল্পী ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা ব্যানার্জি। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ঋদ্ধি সেন তার ফেসবুকে বেশ কটি ছবি পোস্ট করেন। তার একটি ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। 

ব্যক্তিগত জীবনে ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন, এ খবর সবারই জানা। কিন্তু ফেসবুকে চুমুর ছবি দেওয়ায় নেটিজেনদের একাংশ বেশ নাখোশ হয়েছিলেন। অনেকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছিলেন। যার ফলে দ্রুত ভাইরাল হয়েছিল ছবিটি। তখন তরুণ জুটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।

সেই সময়ে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি সুরঙ্গনাকে। দীর্ঘ দিন পর এ নিয়ে নিজের মতামত জানালেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সুরঙ্গনা বলেন, “আমি আর ঋদ্ধি গত দশ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, সেটা সবাই জানেন। একসঙ্গে একটা ছবি তুলেছি সেটা কেন এত সাড়া ফেলেছিল বুঝতে পারিনি। দেখেছি অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কী আর বলি! খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ গোটা পৃথিবীটাই একটা গোঁড়ামির দিকে যাচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

‘মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা, ছেলেরা করলে লোকে বলে— এলেম আছে’

আড়ালে গিয়ে অরিন্দমকে গালাগাল দেয়: স্বস্তিকা

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সুরঙ্গনা বলেন, “চারদিকে প্রকাশ্যে এত খারাপ ঘটনা ঘটছে, রাস্তায় কেউ কাউকে চড় মারলে অসুবিধা হয় না, চুমু খেলেই যত দোষ? দুটো মানুষ চুমু খাচ্ছে এতে অসুবিধার কী আছে? এটা তো অশ্লীল কিছু নয়।”

কলকাতার মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা কৌশিক সেনের পুত্র ঋদ্ধি সেন। এ পরিবারেও সুরঙ্গনার অবাধ আনাগোনা। এ জুটির পথচলা নিয়েও নানা গুঞ্জন উড়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন— তারা কি বন্ধু নাকি প্রেমিকযুগল? পরবর্তীতে সম্পর্কের কথা অকপটে স্বীকার করেন তারা।

ছোটবেলাতেই ঋদ্ধির অভিনয়ে হাতেখড়ি। তারপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। কেবল তাই নয়, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ঋদ্ধি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো: ‘ইতি মৃণালিনী’, ‘কাহানি’, ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ প্রভৃতি।

সুরঙ্গনা শুধু অভিনেত্রী নন তিনি একাধারে নৃত্যশিল্পী ও কণ্ঠশিল্পী। শিশুশিল্পী হিসেবে তার অভিনয়ের পথচলা শুরু। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো: ‘চিরসাথী’, ‘মাটি ও মানুষ’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘গল্প হলেও সত্যি’ প্রভৃতি।

‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ সিনেমায় প্রথম জুটি বেঁধে অভিনয় করেন ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা ব্যানার্জি। এতে প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে দেখা যায় তাদের। এরপর ‘সমান্তরাল’, ‘শরতে আজ’ ওয়েব সিরিজেও জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তারা।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ