সৌদি আবর থেকে মাসুকের মরদেহ পৌঁছাল চুনারুঘাটে
Published: 27th, January 2025 GMT
৫ মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী গ্রামের মাসুক মিয়া। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ২০ দিন পর আজ সোমবার বিকেলে তার মরদেহ পৌঁছায় বাড়িতে। মরদেহ পৌঁছানোর পর স্ত্রী-সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
নিহত মাসুক উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের জহুর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, মাসুক মিয়া ৫ মাস আগে চাকরি নিয়ে সৌদি আরব যান। গত ৭ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মাসুক। নিহতের ২০ দিন পর সৌদি দূতাবাসের সহযোগিতায় মরদেহ দেশে আসে। সোমবার ভোরে মরদেহটি পৌঁছায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কামাল হোসেন মরদেহটি গ্রহণ করেন।
কামাল হোসেন জানান, আজ রাতেই জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ আরব মরদ হ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
চট্টগ্রামে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১২টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার জেল রোডে শাহ আমানত মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি মাজার এলাকায় ভবঘুরে হিসেবে বসবাস করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছিনতাইকারী শাহেদ ওরফে তোবেলকে (৩০) ধাওয়া দিয়ে ধরে মারধর করেন স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, শাহেদ পেশাদার ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি নিয়ে জেল রোডে ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় মাজার এলাকায় থাকা ভবঘুরে এক যুবকের সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাহেদ তার ডান বাহুতে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার রক্তক্ষরণ হয়। টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শাহেদকে উদ্ধার করে প্রথমে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এবং রাতে সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার কাছ থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মাজার এলাকায় থাকা লোকজন জানিয়েছেন, শাহেদ মাদকাসক্ত। ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। নিহত ভবঘুরে ওই যুবকও মাদকাসক্ত। তাদের মধ্যে কি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের একটি টিম আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। তাকে কি ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, নাকি দুজনের মধ্যে অন্য কোনো বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’