‘নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ’
Published: 27th, January 2025 GMT
নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মহিউদ্দিন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী চাঁদপুরের হাইমচরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো.
আরো পড়ুন:
ওসি-এসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে আলটিমেটাম ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
তিনি আরো বলেন, ‘‘যদি কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, ইভটিজিংসহ সামাজিক কোনো অন্যায় কাজ করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গণধোলাই দিয়ে আইনের হাতে তুলে দিন।’’
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসাইন ইউনুছ বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির সুসম্পর্কের মাধ্যমে তৈরি হবে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ। যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য। বাংলাদেশ হবে উন্নত, স্থিতিশীল রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্রের সকলে সমান অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।’’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইমচর সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান মকুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান তিতাস, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি হাইমচর প্রতিনিধি আজিজুল হক রাজু, বিল্লাল হোসেন সোহাগ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাইমচরের সমন্বয়ক আহসান হাবীব, মিরাজ হোসেন, মো. হারিস, জাহিদ পাটোয়ারী, জাহিদ কোতোয়াল প্রমুখ।
ঢাকা/জয়/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুর-শাশুড়ির যাবজ্জীবন
চাঁদপুরের হাইমচরে গৃহবধূ ফাতেমাকে (২৫) শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দেবর রিপন গাজীকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় নিহতের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম গাজী ও শাশুড়ির শাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন। নিহত ফাতেমা (২৫) প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার গোরাকান্দাইল এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন জেলার হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়ার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম গাজীর ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামী সিরাজুল ইসলাম মৃত হাশেম গাজীর ছেলে।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমার শাশুড়ি কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গলায় চেপে ধরে । ওই সময় আসামি শ্বশুর ও দেবর ফাতেমার পেটে লাথি মারে। ঘটনাস্থলে গৃহবধূ ফাতেমার মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশে বাড়ির পুকুরে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। পরদিন ১৬ অক্টোবর সকালে বাড়ির লোকজন দেখলে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে নিহত ফাতেমার ভাই ইউসুফ খান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় তৎকালীন হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামিদের উপস্থিতি বিচারক রায় দেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল রানী শীল।