চলতি বিপিএল শুরু হয়েছিল বেশ ইতিবাচকভাবে। তারকা কম থাকলেও মিরপুরের উইকেটে রান হচ্ছিল। ম্যাচ দেখতে দর্শকদের ভিড় ছিল। বিতর্ক শুরুতে যা ছিল তা বুথে টিকিট না পাওয়া নিয়ে। 

এরপর শুরু হয় আসল বিতর্ক। বিপিএলের তো বটেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এমনকি বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে এমন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বিপিএলে। দুর্বার রাজশাহী পারিশ্রমিক দিতে পারছে না ক্রিকেটার ও স্টাফদের। যে কারণে ম্যাচ বয়কট করেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা। 

শুধু রাজশাহী নয় পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা আছে চট্টগ্রাম কিংসেও। তারাও সব ক্রিকেটারকে নিয়ম মেনে অর্থ পরিশোধ করেনি। আবার সাত দলের মধ্যে বিসিবিকে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিয়েছে মাত্র একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। 

এসব বিতর্কের মধ্যে বিপিএল নিয়ে সোজাসাপ্টা কথা বলেছেন ফরচুন বরিশালে খেলা ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালান। তার মতে, কারো যদি পারিশ্রমিক দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার দরকার কী? 

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ৩৭ বলে ৬৩ রান করে বরিশালকে ম্যাচ জেতানো মালান বলেন, ‘কারও টাকা না থাকলে তিনি দল নেবেন না, খুব সিম্পল। এটাই হওয়া উচিত।’

তবে বরিশালে বিদেশিদের পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা নেই বলেও মন্তব্য করেন মালান। বিপিএলে পারিশ্রমিক বিতর্ক থামবে এমনই আশা তার, ‘টুর্নামেন্ট যাই হোক, মৌলিক বিষয় ঠিক রাখা উচিত। আমাদের কাজ খেলা, মালিকের কাজ আমাদের টাকা দেওয়া। এভাবেই এতোগুলো লিগ হচ্ছে। সহজ হিসাব। আশা করি, সামনে এই সমস্যা থাকবে না।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ