গোপালগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর হামলা, তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন
Published: 27th, January 2025 GMT
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তকরণে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটির মানবিক অনুষদের ডিন মো.
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে মাজার ভাঙচুরের ঘটনা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
চিনির দাম বেশি চাওয়ার প্রতিবাদ করায় মারধর, পাল্টা হামলা
এর আগে, গোপালগঞ্জের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কাজে অপারগতা প্রকাশ করে তদন্ত কমিটি থেকে সভাপতি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন আব্দুল্লাহ আল আসাদকে ও সদস্য সচিব শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. শাহাবউদ্দিন পদত্যাগ করেন।
গত ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষে হল থেকে বাইরে বের হন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা তাকে আটক করেন। তখন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়ে শরিফুল ইসলাম সোহাগকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় দুই সমন্বয়কসহ পাঁচজন আহত হন। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ফয়সাল জামান ফাহিম বাদী হয়ে শরীফুল ইসলাম সোহাগকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০ জনকে নাম না জানা আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ তদন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ট্রাফিককে মারধর করায় ছাত্রদল নেতা আটক
ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলকে মারধর করায় অভিযোগ এনে যশোর সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাওন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কনস্টেবল বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল নম্বর ১৭১১) শরিফুল ইসলাম যশোর শহরের জেল সড়কে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্রদল নেতা শাওন। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হলে ওই পুলিশ সদস্য তাকে মোটরসাইকেলটি সরিয়ে নিতে বলেন।
এসময় শাওনের সঙ্গে পুলিশ সদস্য শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাওন ওই কনস্টেবলের মুখে ঘুষি মারেন। ধস্তাধস্তিতে শরিফুলের পোশাকও ছিঁড়ে যায়। পরে ট্রাফিক পুলিশের অন্য কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে এসে শাওনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন।
এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাফুজুর রহমান বলেন, ‘‘সড়কের ওপর ছাত্রদল নেতা শাওন মোটরসাইকেল রেখে যানজট সৃষ্টি করছিলেন। সেখানে দায়িত্বরত কনস্টেবল শরিফুল তাকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন। তখন শাওন বলেন, ‘চিনিস আমাকে, আমার মোটরসাইকেল ট্রাফিক সার্জেন্টও সরাতে পারে না। আর তুই!’ এ কথা বলেই তার নাকে ঘুষি মারেন। শরিফুলের নাক ফেটে রক্ত বের হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।’’
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/এস