বন্দরে পুকুর থেকে ৩ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ
Published: 27th, January 2025 GMT
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রেলওয়ের লিজকৃত পুকুর থেকে ৩ লাখ টাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ মতিন, ইব্রাহিম ও জীবনগং এর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বন্দর উপজেলা পশ্চিম হাজীপুর এলাকায় এ মাছ লুটের ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত লিজকৃত মালিক মো. নাদিম মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন দুপুরে উল্লেখিত ৩ জনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানা ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এদিকে বন্দর থানা পুলিশ অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ২০৪ নং সালেহনগর এলাকার মোতালিব মিয়ার ছেলে নাদিম মিয়া নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি রেলওয়ে কর্তৃক লীজকৃত ব্যক্তি মানিক মিয়ার নিকট হইতে গত ৮ জানুয়ারি তিনশত টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পুকুরের বাৎসরিক ভাড়া এবং পুকুরের মাছ সহ মোট দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান সাপেক্ষে একটি ভাড়া চুক্তি সম্পাদন করেন।
পরবর্তীতে পুকুরে মাছ চাষের উপযোগী করার জন্য ১লাখ টাকা খরচ করে এবং পুনরায় দেড় লাখ ৎ টাকার মাছ পুকুরে ছেড়ে মাছ চাষ করাকালীন সময়ে সোমবার সকালে বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার মৃত সাফি প্রধানের ছেলে মতিন একই এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ইব্রাহিম মিয়া, রুহুল আমিন মিয়ার ছেলে জীবন একই এলাকার মৃত জব্বার মিঞা মিয়ার ইয়ানুর, একই এলাকার সাবু মিয়ার ছেলে জাকির ও আক্কাস মিয়ার ছেলে শাহআলম সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী নাদিম মিয়ার চাষকৃত মাছ পুকুর হইতে প্রায় ৩ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে যায়।
ওই সময় মৎস চাষি নাদিম বিবাদীদের বাধা প্রদান করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারমূখি আচরণসহ হত্যার হুমকি প্রদান করে।
এছাড়াও বলেন পুকুর থেকে মাছ ধরতে না দিলে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলবে এবং আরও হুমকি প্রদান করে এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে লাশ গুম করে ফেলেবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র ম ত
এছাড়াও পড়ুন:
সম্মানজনকভাবে বিদায় নেওয়ার ব্যাপারে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করব
‘এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। নির্বাচন ডিসেম্বরের পর গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হবে। এর অর্থ কিছু অস্থিরতা হতে পারে। সম্মানজনকভাবে বিদায় নেওয়ার ব্যাপারে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করব।’ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল মঈন খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার চায় বিএনপি। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন না হলে ‘জনগণের মধ্যে জোরালো অসন্তোষ’ এবং দেশে অস্থিরতা তৈরি হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে তাদের জন্য সর্বোত্তম হলো যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া এবং সম্মানজনকভাবে বিদায় নেওয়া।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ‘এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে’ এমন বক্তব্যের পর বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি।