মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলে যুব সমাজকে মাদকের থাবা থেকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (২৭ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চর ডুমুরিয়া বাজারে সড়কে অবস্থান নিয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে স্থানীয় কয়েক শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।

ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে চরাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির অভাবে মাদকের অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। এতে তরুণ প্রজন্ম বিপথগামী হয়ে পড়েছে। পরিবারে অভাব অনটন দেখা দিয়েছে। চরাঞ্চলে মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। 

আরো পড়ুন:

চেহারা নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের দাবি

খুবির অর্ণব হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি সতীর্থদের

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি শরীফ মীর ও জরিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়। 

ঢাকা/রতন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যাটারিচালিত যানের লাইসেন্স ও নীতিমালা দাবি

ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইকের লাইসেন্স, চলাচল-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও আধুনিকায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবর জেলার সহকারী পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগ্রাম পরিষদের জেলা শাখার উপদেষ্টা সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জামাল হোসেন, সংগ্রাম পরিষদ নেতা হাসনাত কবীর, কামাল হোসেন, তাজুল ইসলাম, শফিক, মাসুদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রিকশা চালানো অমানুষিক পরিশ্রমের কাজ। প্রচণ্ড দাবদাহ, প্রবল বৃষ্টি কিংবা তীব্র শীতেও নিজের জীবিকা ও যাত্রীর সুবিধার কথা ভেবে দিনে এবং রাতে রিকশাচালকরা রাস্তায় রিকশা চালিয়ে থাকেন। চালকদের পরিশ্রম লাঘব করা, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও খরচ কমানোর কথা বিবেচনা করে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে রিকশায় ব্যাটারি স্থাপন করা শুরু হয়। প্রথমদিকে নির্মাণজনিত কিছুটা দুর্বলতা থাকলেও ইতোমধ্যে তার অনেকাংশই দূর করে আধুনিকায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে দ্রুত এই বাহন যেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।

এইসব বাহন ব্যবহার সহজ, সস্তা এবং শহরের ছোট রাস্তায় চলতে পারে বলে স্বল্প আয়ের মানুষের দৈনন্দিন কাজে অপরিহার্য এক বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের মালিক ও চালকরা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়, অস্বাভাবিক জরিমানা করা হয়, অনেক সময় ভেঙে ফেলা হয়। দরিদ্র রিকশাচালক, অল্প পুঁজির রিকশা মালিকদের কথা ভাবা হয় না।

তারা আরও বলেন, সারাদেশে প্রায় ৫০ লাখ চালক ও তাদের পরিবার এইসব ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহনের ওপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। এইসব যানবাহন তৈরি, মেরামত, খুচরা যন্ত্রাংশ নির্মাণ, বিক্রি, চার্জিংসহ নানা ধরনের কাজে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্ভরশীল। নারায়ণগঞ্জসহ দেশের সব জেলা ও বিভাগে নগর পরিবহন নেই, ফলে কোটি কোটি মানুষ ব্যাটারিচালিত যানবাহন ব্যবহার করে থাকে। এই খাত যেমন বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এইসব বাহন বিদ্যুতে চলে বলে পরিবেশ দূষণ কম হয়।

বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে এদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরি এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়। অথচ এইসব বাহন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, চালকরা বিদ্যুৎ চুরি করে না বরং বর্ধিত দামে (প্রায় ২৫ টাকা ইউনিট) বিদ্যুৎ কিনে থাকে। তাই কর্মসংস্থান, জীবিকা, যাতায়াত এবং দেশের অর্থনীতির বিকাশের কথা বিবেচনা করে তারা ৫০ লাখ ব্যাটারিচালিত বাহনকে নিবন্ধন ও চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানান। এর মাধ্যমে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে বলে তারা জানান।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
  • সৌদি আরবের বিমানভাড়া এত বাড়ল কেন, প্রশ্ন রাশেদ খাঁনের
  • ব্যাটারিচালিত যানের লাইসেন্স ও নীতিমালা দাবি
  • ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন, মালয়েশিয়ায় ফের সিন্ডিকেটের শঙ্কা
  • মামলা না করে আসামি গ্রেপ্তারের দাবি, পুলিশ বলছে চাপ সৃষ্টি
  • ‘বাবার শেষ চিহ্নটুকু ফিরিয়ে দিন’