জবিতে আন্তঃবিভাগ ভলিবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধন
Published: 27th, January 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ষষ্ঠ আন্তঃবিভাগ ভলিবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ধূপখোলায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
শরীরচর্চা শিক্ষা কেন্দ্রের উপ-পরিচালক গৌতম কুমার দাসের সঞ্চালনায় উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, “সুস্থ দেহ, সুস্থ মন এবং মানসিক প্রফুল্লতার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন যত বেশি হবে, শিক্ষার্থীরা তত বেশি বিকশিত হবে।”
এবারের ষষ্ঠ আন্তঃবিভাগ ভলিবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ এ ছাত্রদের শাখায় ৩৮টি বিভাগ ও দুইটি ইনস্টিটিউটসহ মোট ৪০টি দল এবং ছাত্রীদের শাখায় ১৪টি বিভাগ ও দুইটি ইনস্টিটিউটসহ মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আ.লীগের রাজনৈতিক ফয়সালা করতে হবে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত গণহত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর দেখতে চাই। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফয়সালা এ বাংলার মাটিতে করতে হবে।”
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল, যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, গত ১৫ বছরে নানাভাবে জুলুম করেছে তাদের বিচার এ বাংলার মাটিতে হতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিচার বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। বিচারের পরে যে সংস্কার কার্যক্রম, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন রয়েছে, দ্রুত জাতীয় সংলাপে গিয়ে আমাদের জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র তার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।”
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও ফ্যাসিবাদের কারণে সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বারবার দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। পুরাতন সংবিধান এবং পুরাতন শাসন কাঠামো রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মান সম্ভব নয়। কেবলমাত্র সরকার পরিবর্তন করেই কিন্তু আমাদের জনগণের কল্যাণ সম্ভব নয়। প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা বলেছি, ২৪ সালে যেহেতু গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, ছাত্র জনতা রক্ত দিয়েছে, আমরা কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, শাসন কাঠামোসহ পুরো সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করে নতুন একটি বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই। যেখানে প্রকৃত গণতন্ত্র, ইনসাফ এবং সাম্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, “ডান বামের বাইনারি বিভাজনের মধ্যে না গিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি মধ্যমপন্থি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমরা সফল হতে পারি, সে অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। সেই অঙ্গীকারগুলো যেন আমরা বাস্তবে রূপ দিতে পারি, সেজন্য সারা দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন আমরা প্রত্যাশা করি।”
তিনি বলেন, “সারা দেশের অনেক মানুষ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যে সব জেলা, উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি তার কর্মপরিধি ও বিস্তৃতি লাভে সমর্থ হবে বলে আমরা আশাবাদী। এই সময়ে রায়েরবাজারে আমাদের আরেকটা কর্মসূচি রয়েছে। আমাদের যারা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রয়েছেন, আমরা তাদের কবর জিয়ারতে যাব। তাদের জন্য দোয়া করব।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারি, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মেহেরাব সিফাতসহ নেতাকর্মীরা।
এর আগে, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে দুইটি দ্বিতল বাসসহ কয়েকটি গাড়ি করে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হন নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা। দ্বিতল বাস থেকে একে একে নামেন নাহিদ, হাসনাত, সারজিসসহ অন্যান্যরা। এসময় দলটির স্থানীয় সমর্থক, নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী কমিটির শতাধিক সদস্য তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
সকাল ৮টায় শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা। পরে তারা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাড়ে ৮টায় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন এনসিপি নেতারা।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ