গত ১৬ বছর দেশ একটি কালো অধ্যায় পার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে এক ব্যক্তি, এক দল, এক পরিবারের হাতে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ফ্যাসিবাদ পয়দা হয়েছিল। সেই শাসনামলে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, ছিল না ভোটাধিকার। এসময় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনের সব খুনের মাস্টারমাইন্ড ছিল শেখ হাসিনা। তিনি আইন করে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। আল্লাহ বেশি সময় দিলেন না। দাম্ভিক, অহংকারী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ শাসকদের আল্লাহ হয়তো ছাড় দেন কিন্তু একদম ছেড়ে দেন না। জামায়াত শিবিরের ওপর হাত দেওয়ার সাত দিনেই আল্লাহ তাকে নিষিদ্ধ করে দিলেন। আর জামায়াত-শিবিরকে মর্যাদায় উত্তীর্ণ করে দিলেন আল্লাহ।’ 

সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত তালা উপজেলা জামায়াতের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘যে জামায়াত কে তুমি নিষিদ্ধ করেছ, সেই জামায়াতের আমীরকে সেনাপ্রধান ডেকেছে, বঙ্গভবনে গিয়েছে। তুমি নিষিদ্ধ করার পর আল্লাহ সেই জামায়াত-শিবিরকে আবার সম্মানিত করেছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, এখন আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’ 

তালা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মো.

মফিদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর শহিদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ন ষ দ ধ কর আল ল হ

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতিমুক্ত বিনিয়োগ পরিবেশ গড়ার অঙ্গীকার: জামায়াত

দুর্নীতি, বৈষম্যমুক্ত এবং বিনিয়োগবান্ধব দেশ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এ অংশ নিয়ে দলটি এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সম্মেলনের আয়োজন করে। পরে জামায়াতের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার কথা বলেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আনতে পারলে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে, সবার ত্যাগ এবং স্বপ্ন স্বার্থক হবে। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সুশাসন, সততা, নিষ্ঠা এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক নীতি প্রণয়ন করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। প্রকৃতি, নদী ও বন্দর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বলেছেন, এগুলোর আধুনিকায়ন করা হলে এবং সময়ক্ষেপণ না হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো উন্নয়ন, টেক্সটাইল, কৃষি, কেমিক্যাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। চায়না চেম্বার অব কমার্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জামায়াতে ইসলামীর স্টল পরিদর্শন করেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের নকশিকাঁথাসহ অন্যান্য সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশসহ বিভিন্ন সমস্যা ও এর সমাধান নিয়ে খোলামেলা আলোচনা ও মতবিনিময় হয়। এদিন চীন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা জামায়াত প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করেন। তারা বিভিন্ন উদ্বেগের কথা জানান।

মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন– বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইন্ডাস্ট্রিজ ও বিজনেস বিভাগের সহসভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, সেক্রেটারি ড. আনোয়ারুল আজিম ও সদস্য মাসুদ কবির।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্নীতিমুক্ত বিনিয়োগ পরিবেশ গড়ার অঙ্গীকার: জামায়াত