জামায়াতের ওপর হাত দেওয়ার ৭ দিনেই আল্লাহ তাকে নিষিদ্ধ করেন: গোলাম পরওয়ার
Published: 27th, January 2025 GMT
গত ১৬ বছর দেশ একটি কালো অধ্যায় পার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে এক ব্যক্তি, এক দল, এক পরিবারের হাতে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ফ্যাসিবাদ পয়দা হয়েছিল। সেই শাসনামলে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, ছিল না ভোটাধিকার। এসময় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনের সব খুনের মাস্টারমাইন্ড ছিল শেখ হাসিনা। তিনি আইন করে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। আল্লাহ বেশি সময় দিলেন না। দাম্ভিক, অহংকারী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ শাসকদের আল্লাহ হয়তো ছাড় দেন কিন্তু একদম ছেড়ে দেন না। জামায়াত শিবিরের ওপর হাত দেওয়ার সাত দিনেই আল্লাহ তাকে নিষিদ্ধ করে দিলেন। আর জামায়াত-শিবিরকে মর্যাদায় উত্তীর্ণ করে দিলেন আল্লাহ।’
সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত তালা উপজেলা জামায়াতের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘যে জামায়াত কে তুমি নিষিদ্ধ করেছ, সেই জামায়াতের আমীরকে সেনাপ্রধান ডেকেছে, বঙ্গভবনে গিয়েছে। তুমি নিষিদ্ধ করার পর আল্লাহ সেই জামায়াত-শিবিরকে আবার সম্মানিত করেছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, এখন আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
তালা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ন ষ দ ধ কর আল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনা দরকার: মিয়া গোলাম পরওয়ার
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে আমাদের সব কটি অফিস সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের নেতা-কর্মীদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুম, খুন, নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের নেতাদের বিচারের নামে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের প্রতি প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই। তবে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনা দরকার।’
আজ সোমবার দুপুরে খুলনা নগরের খানজাহান আলী সড়কের তারের পুকুর এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে পুলিশ এই কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিল।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী সংগঠন। জামায়াত দেশকে একটি মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এ মহতী কাজ সম্পাদনের জন্য একদল আদর্শ ও চরিত্রবান লোক তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও মহানগরীর আমির মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর নায়েবে আমির নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন, সহকারী সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন, সেক্রেটারি রাকিব হাসান প্রমুখ।