ক্ষমতার লোভ আর সংসদের আসনের লোভ দেখিয়ে তরুণ প্রজন্মকে কেনা যাবে না। শেখ হাসিনা আমাদের কিনতে পারেনি, আওয়ামী লীগ কিনতে পারেনি। এই তরুণ প্রজন্মের সাথে আপনারা বেইমানি না করে বরং জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করুন।

সোমবার চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র জনতার মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামীতে নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, রাজনীতি করবে কি করবে না, এসব আলাপ আলোচনা অনেক পরে। তার আগে খুনি হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে, ওবাইদুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের কমিটি ধরে বিচার করতে হবে। বিচারের পূর্বে যারা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চান তাদের বলতে চাই- যারা আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান দেখেছেন তাদের হারানোর কিছু নেই। আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসার আলাপ বাদ দিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল থেকে তাদের বিচার নিশ্চিতের আওয়াজ তুলুন।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ক্ষমতামুখী না হয়ে জনতামুখী হোন। যারা ক্ষমতামুখী হয়েছে তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। আপনারা জনতামুখী হলে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গ পাবেন।

পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করার দরকার নেই, ক্ষমতা কাঠামোকে অনুসরণ করার দরকার নেই। আপনার যদি রাজনৈতিক দলের দালালি করেন, তাহলে হারুন-বেনজীরের মতো দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সেলের সদস্য মোল্লা ফারুক এহসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।

এতে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসলাম অর্ক। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব সাফফাতুল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত আওয় ম ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ