আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা-২০২৫ এবং আখেরি মোনাজাত (২ ফেব্রুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমায় বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। বিশ্ব ইজতেমায় যোগদানকারী মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বিশেষ নির্দেশনাগুলো হলো-
১.

আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কার্ভাডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর, ধউড় ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।

২. অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহন কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

৩. ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আসা যানবাহন কুড়িল ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে।

৪. আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আসা যানবাহন কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না।

৫. আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

৬. উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সব ধরনের প্রকার যানবাহনের চালকরা বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন।

৭. ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তারা তুরাগ নদীর উপরে নির্মিত পল্টুন ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন।

৮. বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ- ২ এবং নিকুঞ্জ-১ গেট থেকে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে।

৯. নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রী ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

১০. মুসল্লিবাহী প্রতিটি যানবাহনের দৃশ্যমান স্থানে চালকের নাম এবং মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকতে হবে।

১১. ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের নিচে আব্দুল্লাহপুর বেইলি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে সব যানবাহন চালকদের আজমপুর হতে ফ্লাইওভার ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

১২. সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে ফ্লাইওভার দিয়ে পারাপার না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

১৩. খিলক্ষেত থেকে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে পার্কিং করা যাবে না।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।

গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশনা
১. ঢাকা ও চট্টগাম বিভাগের পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা ১৫ নং সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫ নং ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ।

২. সিলেট ও খুলনা বিভাগ থেকে আসা যানবাহন পার্কিং করবে উত্তরার ১৫ নং সেক্টর লেকপাড় মাঠ।

৩. রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে আসা যানবাহন পার্কিং করবে ১০ নং ব্রিজ এবং ১১ নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬ নং সেক্টরের ভেতরে এবং বউবাজার মাঠে।

৪. বরিশাল বিভাগ থেকে আসা যানবাহন পার্কিং করবে ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।

ঢাকা মহানগরের থেকে আসা যানবাহন পার্কিং করবে ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায়।

ভাইভারশন সংক্রান্ত নির্দেশনা
ডাইভারশন পয়েন্ট- শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা হতে ডাইভারশন স্থান ধউর ব্রিজ, ১৮ নং সেক্টর পঞ্চবটা ক্রসিং, পদ্ম ইউলুপ, ১২ নং সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে (বিশ্ব রোড নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট), কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২, মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পার্শ্ব, মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ ব ইজত ম ড এমপ ব শ ব ইজত ম র জন য করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেন রেখে পালিয়েছে চালক, ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ স্টেশন সুপার

মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে রেখে চালক পালিয়েছে গেছেন। এতে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খানকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।

মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহাল না করায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ (লোকোমাস্টার, গার্ড, টিটিই)। কর্মবিরতির মধ্যে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে ছেড়ে আসে ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন। পরে ট্রেন রেখে চালক পালিয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে স্টেশন সুপারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। 

হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী জুবায়ের আহমেদ বলেন, “ফুপা অসুস্থ, তাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে। কিন্তু ট্রেনটি মোহনগঞ্জ থেকে সকাল আটটায় ছেড়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে সাড়ে ১০টার দিকে পৌঁছালেও ঢাকার উদ্দেশ্য যাচ্ছে না। ট্রেনটি রেখে চালক পালিয়েছে, তাই সকলে স্টেশন সুপারকে অবরুদ্ধ করে রাখে।”

আরেক যাত্রী হাসানুল হক বলেন, “ঢাকা যাবে না ভালো কথা, তাহলে মোহনগঞ্জ থেকে ছাড়ল কেন?”

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খান বলেন, “যাত্রীরা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। আমি উপায় না পেয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। টিকিটের টাকা ফেরত দিলে যাত্রীরা চলে যায়।”

ঢাকা/মিলন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
  • রাজধানীসহ ৭ জেলায় সংঘাত-বিক্ষোভ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৭ 
  • রাজধানীসহ ৭ জেলায় সংঘাত-ভাঙচুর, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৭ 
  • আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সাংবাদিকদের মর্যাদাও নিশ্চিত হবে না: কামাল আহমেদ
  • ট্রেন রেখে পালিয়েছে চালক, ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ স্টেশন সুপার