ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত ওয়াশরুম, স্যানিটাইজেশনসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপাচার্য বরাবর এসব দাবি জানানোর পর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে সংবাদ বিবৃতির আয়োজন করে।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে সহকারী পরিচালক হিসেবে একজন নারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে; আবাসিক হলে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ও উপযুক্ত নামাযের স্থান বরাদ্দ করতে হবে (চাহিদানুপাতে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন); কেন্দ্রীয় মসজিদে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত নামাযের স্থানে মানসম্মত পানির ফিল্টার স্থাপন করতে হবে।

তাদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হবে; ক্যান্টিনে পূর্ণ-পর্দা রক্ষা করে খাবার গ্রহণ করতে চায় এমন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা রাখতে হবে; আবাসিক হলে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; ছাত্রী হলের মেডিকেল সেন্টারে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে।

জবি শাখা শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বদা ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ হলো আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা। এসব নারী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের এ দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আজ নারী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সাতটি দাবি উপস্থাপন করেছি৷ এগুলো বাস্তবায়ন হলে আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করি।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষ র থ দ র জন য ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ