যশোরের বেনাপোলে হেলমেট পরা দুজন মোটরসাইকেলে এসে বোমা ফাটিয়ে দ্রুত সটকে পড়েছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুরে বেনাপোল বন্দরের লিংক রোডে ও রোববার চেকপোস্টের আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরের দিকে দুজন মোটরসাইকেল এসে বন্দরের লিংক রোডে কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনের পাশে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের মাথায় ছিল হেলমেট। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মো.

রাসেল মিয়া বলেন, কে বা কারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে তা জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বোমা বিস্ফোরণকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ