ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে উপদেষ্টাদের উপস্থিতি স্বাভাবিক ঘটনা
Published: 27th, January 2025 GMT
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সে দেশের হাইকমিশনে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে সরকারের উপদেষ্টাদের উপস্থিতি খুব স্বাভাবিক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
তিনি বলেছেন, “কোনো দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস বা জাতীয় দিবসে তারা যেতেই পারেন।”
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভারতের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দেখা গেছে। এর মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “আপানারা সব সময় দেখে আসছেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সব সময় বলে আসছেন, সব দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক আশা করেন। এখানে উপদেষ্টাদের উপস্থিতি আলাদাভাবে দেখার কোনো কারণ আমি দেখছি না।”
তিনি আরো বলেন, “কোনো দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস বা জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে সব সময় একজন প্রধান অতিথি থাকেন, উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি থাকেন, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। সে ঘটনার ধারাবাহিকতায় এখানেও আপনারা প্রধান অতিথিকে উপস্থিত থাকতে দেখেছেন। এখানে আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আমরা সব সময় মনে করি, বাংলাদেশ সবার সাথেই সুসম্পর্ক প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের কার্যক্রম সেভাবেই পরিচালিত হয়ে থাকে।”
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট দ র পরর ষ ট র উপস থ ত সব সময়
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।