নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের
Published: 27th, January 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের সংঘাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ রাকিবের আহতের ঘটনায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিউমার্কেট থানার সহকারী কমিশনার (এসি) এবং থানার ওসিসহ দায়িত্বরতদের প্রত্যাহার করে বিভাগীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
একইসঙ্গে ঢাবির প্রো-ভিসি মামুন আহমেদ পদত্যাগ না করলে ঢাকা কলেজের সামনে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসসহ যানবাহন চলাচল বন্ধ করার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
সোমবার ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী মইনুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অধিভুক্তি বাতিল করার দাবি আমলে নেওয়ায় কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের বাকি পাঁচটি দাবি মানার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো প্রক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে নিউমার্কেট থানার পুলিশ। এ হামলার সঙ্গে জড়িত দায়িত্বরত এসি-ওসিসহ জড়িতদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আমরা নিউমার্কেট থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ত কল জ কল জ র শ ক ষ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’