ওয়ার্ল্ডফিশ-বাংলাদেশের দায়িত্বে নতুন প্রতিনিধি
Published: 27th, January 2025 GMT
বিশ্বে সুপরিচিত ওয়ার্ল্ডফিশ ড. ফারুক-উল ইসলামকে সংস্থাটির নতুন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ নিযুক্ত করেছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের ২৭টি দেশে কার্যক্রম নিয়ে সংস্থাটি বিশ্বে মৎস্য ও জলজ সম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
যুক্তরাজ্যর স্টারলিং ইউনিভার্সিটি থেকে দেশি মাছ ও জীবন-জীবিকার ওপর ড. ফারুক পিএই ডি করেছেন। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর কৃষি ও মৎস্য উন্নয়ন খাতে কাজ করছেন। যুক্তরাজ্য ও মৎস্য অধিদপ্তরের উল্লেখযোগ্য বড় কার্যক্রমে (১৯৯২) চাকরিজীবন শুরু করেন। সুদীর্ঘ ২২ বছর টানা কাজ করেন ঢাকায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা প্রাক্টিক্যাল অ্যাকশনে। সেখানে অন্তর্বর্তী কান্ট্রি ডাইরেক্টরের দায়িত্বও পালন করেন।
থিঙ্কএকুয়া (ইউকে) ও আইডিই (যুক্তরাষ্ট্র) নামক আন্তর্জাতিক সংস্থায় তিনি তার বহুমাত্রিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ২০০৭ সালে তিনি ১০টি দেশি ছোট মাছকে (পুঁটি, কই, টেংরা, মাগুর, শিং, মলা , টাকি, চিংড়ি, গুতুম ইত্যাদি)) মৎস্য চাষ ও সমন্নিত ব্যবস্থাপনার জন্য অগ্রাধিকার দিতে চিহ্নিত করেন, যাদের সরবরাহ বাজারে দৃশ্যমান।
গবেষণা ও উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে পুকুরে জলাশয়ে অমজুতকৃত মাছের সংরক্ষণ ও চাষ ব্যবস্থার গুরুত্ব উপস্থাপন করেন। প্রকৃতিবান্ধব মৎস্য চাষ, বিশেষায়িত কৃষি ও জলবায়ু বিষয়ক প্রকল্পে দীর্ঘদিন কাজ করেন। বিশ্বের ৫৫টির বেশি উন্নয়ন প্রকল্প আন্তর্জাতিক টিমে কাজ করে ডিজাইন করেছেন। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাহায্য সংস্থা কর্তৃক অর্থায়ন হয়েছে।
কিছুদিন আগে তিনি মৎস্য চাষে এরেশান প্রযুক্তির উদ্ভাবন, গবেষণা ও ব্যাপক বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি কর্তৃক মনোনীত ও স্বীকৃত হয়েছেন। তিনি কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিভিন্ন উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করেছেন। বিশ্বের ১২টি দেশে উন্নয়ন ও গবেষণা কাজ সরেজমিনে দেখে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে কাজ করছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’