ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেছেন, “আমাদের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ) কতগুলো পরীক্ষা চলমান। এ পরীক্ষাগুলো আমরা শেষ করতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এতে সহযোগিতা করতে সম্মত। এবার শিক্ষার্থীরা যদি সম্মত থাকে, তাহলে যে পরীক্ষাগুলোর তারিখ পরিবর্তন হয়েছে, সেটি নতুন করে দিতে বলেছি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ঢাকা কলেজে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, নতুন কী কাঠামো হবে, সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।”

আরো পড়ুন:

অবশেষে ঢাবি থেকে আলাদা হলো ৭ কলেজ 

বাকৃবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা: পথ দেখাবে ‘এক্সাম হল ফাইন্ডার’

অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, “সরকার একটি উচ্চ মানসম্মত কমিটি করেছে। সেখানে আমরা সাত কলেজের প্রিন্সিপাল ও বিভাগীয় প্রধানরা আমন্ত্রিত হয়ে তাদের কাছে অবস্থা ব্যাখ্যা করেছি। শিক্ষর্থীদের যে চাওয়া, তার সঙ্গে এটা কতটা সঙ্গতিপূর্ণ, তা তাদের কাছে তুলে ধরেছি৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা অবশ্যই সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেবেন।”

নতুন কাঠামোর বিষয়ে কমিটি কাজ করবে, জানিয়ে তিনি বলেন, “কমিটি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে দেশের বরণ্য শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত দেবে। যেটা হলো- এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আরেকটি কাঠামো দাঁড় করাবেন। সেটি কী রূপরেখা হবে, কাঠামো হবে, তা নিয়ে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা শুধু সমস্যাটি কী হয়েছে এবং তার সমাধান কী হবে, তা লিখিতভাবে দিয়েছি।”

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ জানান, বৈঠকে প্রথম সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ, যেটি শুরু হওয়ার কথা, সেটি আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হচ্ছে না। 

এর আগে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি সভা হয়। সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ত কল জ র পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি

সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।

এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ