বর্ণিল আয়োজনে সাঁওতাল নারীদের সাংস্কৃতিক উৎসব
Published: 27th, January 2025 GMT
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’— স্লোগানে সামাজিক-সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও মর্যাদা রক্ষায় সাঁওতাল নারীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপিত হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ‘আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ’ ও ‘জনউদ্যোগের’ আয়োজনে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের তালতলা মাঠে এ উৎসব উদযাপন করেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ।
বর্ণিল এ আয়োজনে নারীদের ফুটবল প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সাঁওতালরা তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরেন।
আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রউফ তালুকদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা, কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়ের হাসান মো.
বক্তারা বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর খেলাধুলা এ সংস্কৃতি বিকাশে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। অন্য সকল জনগোষ্ঠীর চেয়ে সাঁওতাল নারীরা পিছিয়ে আছে। তবে ফুটবল, ক্রিকেটসহ বেশ কিছু খেলায় পাহাড়ি নারীরা অবদান রাখতে শুরু করেছে। দেশের ক্রীড়াঙ্গন ও সংস্কৃতি চর্চার মূলস্রোতধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয় অবদান রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাঁওতাল নারীদের ফুটবল খেলায় মাদার তেরেসা প্রমীলা ফুটবল একাডেমি ও পাল্লো কিশোরী ক্লাব অংশ নেয়। খেলায় মাদার তেরেসা প্রমীলা ফুটবল একাডেমি ২-০ গোলে জয় লাভ করে। খেলা পরিচালনা করেন এম. এ. এইচ মানিক এবং ধারাভাষ্য দেন রফিকুল ইসলাম। খেলা শেষে সাংস্কৃতিক উৎসবে সাঁওতালদের ঐতিহ্যবাহী নাচ ও গান দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
ঢাকা/মাসুম/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।
‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।
১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।