‘অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা রয়েছে’
Published: 27th, January 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “যৌক্তিক সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে দেশের সব সংকট কেটে যাবে। অন্তবর্তী সরকারের ওপর আস্থা রয়েছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করে দেশকে গণতন্ত্রমুখী করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।”
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে রংপুর মহানগর বিএনপির কর্মী সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু সদস্য সন্তানতুল্য। তারা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত। সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হবে। তা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বাজার ব্যবস্থা স্বভাবিক হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে।”
আরো পড়ুন:
কমিটি বাতিলের দাবিতে পদ বঞ্চিত যুবদল নেতাদের বিক্ষোভ
পাবনায় বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “বিএনপি সবসময়ই নির্বাচনমুখী দল। যে কোনো সময় নির্বাচন হলে বিএনপি অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।”
মহানগর বিএনপির আহ্বায়িক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল হক, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজুন নবী ডন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’